চট্টগ্রামে ফুরিয়ে আসছে করোনাভাইরাসের টিকার মজুত। বর্তমানে মাত্র ২৩ হাজার ডোজ টিকা আছে কর্তৃপক্ষের কাছে। এ অবস্থায় প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণকারী লক্ষাধিক মানুষের দ্বিতীয় ডোজ পাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। মজুত ঘাটতির কারণে টিকা প্রদানের প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন এনেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এখন থেকে যারা এসএমএস পাবেন তারাই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবেন।  

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য মতে,  চট্টগ্রামে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৪ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬০ জন। এর মধ্যে গতকাল রোববার (৯ মে) পর্যন্ত চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ডোজের টিকা গ্রহণ করেন ৩ লাখ ১৬ হাজার ৩০১ জন। অর্থাৎ দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিতে অপেক্ষায় আছেন আরও ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৯ জন। আজ সোমবার (১০ মে) পর্যন্ত টিকার মজুত আছে ২৩ হাজার ডোজ। সে হিসেবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৯ জনের মধ্যে টিকা পাবেন মাত্র ২৩ হাজার জন। টিকা প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৫৯ জনের।

আরও পড়ুন : দ্বিতীয় ডোজের ১৪ লাখ টিকার ঘাটতি

এ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ আছে। এখন শুধুমাত্র যাদের মোবাইলে এসএমএস যাবে তারাই টিকা নিতে পারবেন। আমাদের হাতে আরও ২৩ হাজার ডোজ টিকা মজুত আছে। ঈদ পর্যন্ত সীমিত আকারে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাব। যে ২৩ হাজার ডোজ মজুত আছে তা ঈদের আগেই শেষ হয়ে যাবে। তারপর মন্ত্রণালয় পরবর্তী যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ী কাজ চলবে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ডোজ যারা নিয়েছেন কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি তাদের নতুন টিকা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এটা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। মজুত স্বল্পতার কারণে তা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত বাড়তে পারে। 

দেশে এখন পর্যন্ত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গত মার্চ মাসের শেষ দিকে সেরামের টিকা রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে টিকা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

উল্লেখ্য, সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রথম ডোজের গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। টিকার সংকট দেখা দেওয়ায় গত ২৭ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রামে।

কেএম/এসকেডি/জেএস