চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরও ৭ জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের আরও সাত জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাদের প্রত্যেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা।
শুক্রবার (২৮ মে) রাতে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ‘সাতটি নমুনার মধ্যে আমরা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি। তারা প্রত্যেকেই চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাস করেন। এমনকি তাদের কোন ট্রাভেল হিস্ট্রি নেই।’
তাহমিনা শিরিন বলেন, ‘এ জেলায় সংক্রমণের অবস্থা বিবেচনায় বলাই যায় জেলাটিতে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
কতগুলো নমুনা থেকে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সব নমুনাই সিকোয়েন্সিং করা যায় না। আর যেগুলো সিকোয়েন্স করা হয়, সেখানে অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টও থাকে। তাই নিশ্চিত করে বলা যাবে না যে এতগুলো নমুনা থেকে সাতটি ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে।’
এর আগে যশোরে ৫ জন এবং ঢাকায় ৬ জনসহ ১১ জনের শরীরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পড়ার খবর জানিয়েছিল আইইডিসিআর। নতুন করে সাত জনসহ দেশে বর্তমানে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া করোনা রোগীদের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ জনে।
আরও তিন জেলায় লকডাউনের পরিকল্পনা
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশে করোনা সংক্রমণে আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনার ভারতীয় ধরন (ভ্যারিয়েন্ট)। যার প্রভাবে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতেও তুলনামূলকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংক্রমণের হার টেনে ধরতে ইতোমধ্যেই সীমান্তবর্তী একটি জেলায় (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) লকডাউন দেওয়া হয়েছে। সংক্রমণ পরিস্থিতি বাড়তে থাকলে সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও খুলনা জেলাতে লকডাউনের পরিকল্পনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আরও তিনটি জেলা আমাদের পর্যবেক্ষণে রয়েছে। সেগুলো সংক্রমণ বাড়লেই সেগুলোতে লকডাউনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করি, তখন ওই জেলায় সংক্রমণ ছিল ৪০ এর ওপরে। আর অন্য জেলাগুলোতে এখনও সংক্রমণ অনেক নিচে। তবে যদি বাড়তে থাকে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া হবে।’
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ৪০ শতাংশের ওপরে সংক্রমণ রয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও খুলনায়। ২০ থেকে ২৯ শতাংশ সংক্রমণ রয়েছে সিলেট, ঝালকাঠি, রাজশাহী, নাটোর ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও ফরিদপুরে।
এছাড়া ১০ থেকে ১৯ শতাংশ সংক্রমণের হার রয়েছে দিনাজপুর, সিরাজগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ফেনী, রংপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, বরিশাল, সাতক্ষীরা, গাজীপুর বগুড়া, গোপালগঞ্জ, যশোর, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, মাগুরা, নওগাঁ, কক্সবাজার, ভোলা, নড়াইল, লক্ষ্মীপুর, নরসিংদী, মানিকগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোনা ও টাঙ্গাইলে।
টিআই/ওএফ