দেশে নতুন করে আতঙ্ক ছড়ানো ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিসকে (কালো ছত্রাক) গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একইসঙ্গে এই রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, চিকিৎসা ব্যয় ও ব্যবস্থাপনা কেমন হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

বুধবার (২৬ মে) দুপুরে অধিদফতরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি মিউকরমাইকোসিস (ব্ল্যাক ফাঙ্গাস) নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের উদ্বেগ বা উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই রোগটি আদিকাল থেকে আমাদের পরিবেশের সঙ্গে আছে। বিশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষেত্রবিশেষে এর প্রাদুর্ভাব ও সংখ্যাধিক্য দেখা যেতে পারে।

নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে যেসব রোগীর ক্ষেত্রবিশেষ স্টেরয়েড ব্যবহার করতে হয় ও যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস মেলাইটাস আছে তাদের জন্য ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সত্যিকার অর্থেই বিপদের কারণ হতে পারে। আমরা পরিস্থিতির দিকে গভীর পর্যবেক্ষণ করছি, আশা করছি এটি কোনো অবস্থাতেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারবে না।

তিনি বলেন, আমরা দেখেছি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে দুজন রোগী পাওয়া গেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত ফলাফল হাতে না আসবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিশ্চিত কিছু বলতে পারব না। তথ্য-উপাত্ত হাতে পেয়ে যদি সবাইকে জানাই তাহলে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পর পরস্পরকে সহযোগিতা করা উচিত।

চিকিৎসা ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি  বলেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস একটি বিরল জাতের রোগ, এটি খুব বেশি সংখ্যক মানুষের হয় বলে তথ্য-উপাত্ত আমাদের বলে না। তবে অবশ্যই এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা গত কিছুদিন ধরে ক্রমাগত কাজ করছি। আমাদের ক্লিনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করার চেষ্টা করছি। একইসঙ্গে এই রোগ মোকাবিলায় যেসব ওষুধপত্র লাগে, সেগুলো কীভাবে সহজলভ্য করা যায় সেগুলো নিয়েও আমরা কাজ করছি। অল্প সময়ের মধ্যে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দেবো। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধগুলো সহজে পাওয়া যায় না। তাই এ পরিস্থিতিতে কেউ যেন বাড়তি দামে ওষুধ বিক্রি করতে না পারে সে বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা অগ্রসর হচ্ছি।

টিআই/এসকেডি