সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে ২০১৬ সালে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে এখনও মৌখিক পরীক্ষার ডাক পাননি ১ হাজার ২৯১ জন ডিপ্লোমা নার্সিংয়ে পাস করা নার্স। দ্রুত সময়ের তাদের নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এই দাবি জানানো হয়। এর ১ জুন ও ২৪ মে একই দাবিতে মানববন্ধন করেন নিয়োগ না পাওয়া নার্সরা।

চাকরি প্রার্থীর জানান, দেশের যেকোনো প্রান্তে সরকারি নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও আমরা ব্যর্থ হয়েছি। দ্রুত চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা নার্সিংয়ে পাস করা নার্সদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে নার্সরা বলেন, আমরা চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা নার্সিং পাস করে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চাকরির অপেক্ষায় আছি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের আহ্বানে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে রিটেন পাস করি।

কিন্তু ওই সময় পাস করা ১ হাজার ২৯১ জন নার্সের নিয়োগের জন্য কোনো সুপারিশ করা হয়নি। এদের মধ্যে হয়তো এখন ৪০০ থেকে ৫০০ জন নার্স আছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের বয়স এখন সবারই প্রায় ৩০ পার হয়ে গেছে। তাই আমরা আর কোথাও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি না।

তারা আরও বলেন, আপনারা জানেন কিছুদিন আগেও করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৬ হাজার নার্সের চাহিদা দেয়। ২০১৬ সালের আমাদের এই ৪/৫শ নার্সকে বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ২০১৭ সালের ভাইবা থেকে নিয়োগের সুপারিশ না পাওয়া ৫ হাজার ৫৪ জন নার্সকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

আমরা প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি জানাই, আমাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। আমাদের এই দুর্বিষহ অভিশাপ জীবন থেকে মুক্ত করে করোনা মহামারি মোকাবিলার যোদ্ধা হিসেবে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে একটু নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিয়ে আমাদের অসহায় জীবন থেকে মুক্তি দিন।

মানববন্ধনে নার্সদের পক্ষ থেকে আফরোজা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, খালেদা আক্তার, রুমানা ইয়াসমিনসহ প্রায় অর্ধশত নার্স উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/এমএইচএস