বিএমইউতে গবেষণা সক্ষমতা বাড়াতে ২ দিনব্যাপী কর্মশালা
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) স্বাস্থ্য পেশাজীবীদের মধ্যে বাস্তবভিত্তিক গবেষণা, ডাটা বিশ্লেষণ এবং আন্তর্জাতিক মানের বৈজ্ঞানিক লেখালেখির দক্ষতা বাড়াতে দুই দিনব্যাপী গবেষণা প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আয়োজকরা বলছেন, এই প্রশিক্ষণ ভবিষ্যতে মাতৃ–নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য সেবায় সরাসরি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং দেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণকে আরও শক্তিশালী করবে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওন্যাটোলজি ট্রেনিং রুমে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ, হাসপাতাল ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন স্বাস্থ্য পেশাজীবী। কর্মশালাটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির নিওনেটোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরাম, বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটি এবং আইসিডিডিআর’বি। পুরো উদ্যোগটির অর্থায়ন করেছে আইসিডিডিআর’বির অ্যাডসার্চ প্রকল্প।
কর্মশালাটি নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিওনেটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মান্নান। এসময় প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় গবেষণা এখন আর অতিরিক্ত যোগ্যতা নয়; বরং মানোন্নয়ন, নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য এটি অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীরা এসেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কমিউনিটি বেইজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ময়মনসিংহ), বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথ, নরসিংদী জেলা হাসপাতাল এবং ডা. এম আর খান শিশু হাসপাতাল অ্যান্ড আইসিএইচ থেকে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো–ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. আব্দুল কালাম আজাদ; বাংলাদেশ পেরিনেটাল সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ডা. লায়লা আরজুমান্দ বানু; বাংলাদেশ নিওনেটাল ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর মো. মজিবুর রহমান; কোষাধ্যক্ষ ডা. এম এ রউফ এবং সাবেক সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর সঞ্জয় কুমার দে। বক্তারা নবীন গবেষকদের সততা, পদ্ধতিগত শৃঙ্খলা এবং আন্তর্জাতিক মানের লেখালেখির ওপর জোর দেন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আইসিডিডিআর’বির মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ১২ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। অংশগ্রহণকারীরা হাতে–কলমে শিখেছেন ডাটা বিশ্লেষণ পদ্ধতি, বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ লেখার কাঠামো, রেফারেন্স ব্যবস্থাপনা, এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা প্রকাশের কৌশল।
আয়োজকদের মতে, দেশের স্বাস্থ্যখাতে প্রমাণভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও মানোন্নয়নে গবেষণার ভূমিকা নির্ণায়ক। এ ধরনের কর্মশালা শুধু দক্ষতা বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের গবেষণার প্রতি আগ্রহও বাড়ায়—যা দীর্ঘমেয়াদে মাতৃ, নবজাতক ও শিশুস্বাস্থ্য সেবায় স্পষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
টিআই/বিআরইউ