স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব জাকিয়া পারভীনের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টিকেএস হেলথকেয়ার লিমিটেডের পক্ষে কোভিড-১৯ সরঞ্জাম ক্রয় ও জনবল নিয়োগে অনুমোদন সংক্রান্ত একটি ভুয়া পরিপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ পরিপত্রটি ভুয়া ও মিথ্যা বলে দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও সুপারিশ করেছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, টিকেএস হেলথকেয়ার লিমিটেডের পক্ষে কোভিড-১৯ সরঞ্জাম ক্রয় ও জনবল নিয়োগে অনুমোদন সংক্রান্ত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের (অননুমোদিত) পরিপত্রটি ভুয়া ও একটি মিথ্যা গুজব।

লক্ষ্য করা যাচ্ছে, ১৯ জুলাই থেকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপ-সচিব জাকিয়া পারভীনের স্বাক্ষর কপি পেস্ট করে একটি পরিপত্র জারি করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে যা সর্বাংশে মিথ্যা।

এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া জানান, মহামারির সময় জাতি যখন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নিরলস লড়াই করে যাচ্ছে সেসময় এক শ্রেণির অসাধু লোকজন অপতৎপরতা দেখাচ্ছে এবং মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে ফায়দা লুটে নিতে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।

এদিকে জালিয়াতি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব জাকিয়া পারভীন স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বরাবর এ সংক্রান্ত একটি পাঠানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিভিন্ন সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যমে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর স্বাক্ষর জাল করে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন-১ অধিশাখার নথি ও স্মারক নম্বর ব্যবহার করে টিকেএস হেলথকেয়ার লিমিটেডের অনুকূলে কোভিড-১৯ র‌্যাপিড টেস্ট সংক্রান্ত যে পত্র ইস্যু দেখানাে হচ্ছে তা ভুয়া ও বানােয়াট, যা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস মাত্র। প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়ে এ ধরনের কোনো পত্র জারি করা হয়নি। এ অনৈতিক ও বেআইনি কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

টিআই/এসকেডি