যক্ষ্মাতে বছরে ২৮ হাজার মৃত্যু
দেশে যক্ষ্মা রোগে প্রতিবছর ২৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে ২০০৪ সালে যক্ষ্মাতে ৭০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানামুখী পদক্ষেপে এটা নিয়ন্ত্রণে আসছে।
বিজ্ঞাপন
আজ (মঙ্গলবার) দুপুরে শ্যামলীতে ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশে যক্ষ্মায় মৃতের সংখ্যা কমে এসেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এখন যক্ষ্মাতে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমে এসেছে। বাংলাদেশে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৯০ শতাংশই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, সরকারি সংস্থা এই চিকিৎসা বিনামূল্যে দিচ্ছে। ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দেওয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য এই রোগী আরও কমিয়ে আনা।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে যদি যক্ষ্মা নির্মূল করতে চাই এবং যক্ষায় মৃত্যুর হার কমাতে চাই, তাহলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত সঠিকভাবে করতে হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করা সম্ভব হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে ওঠে।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘‘জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি” স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অধিদফতরের অন্যতম সফল একটি কার্যক্রম। যক্ষ্মা গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার কারণে এই কর্মসূচির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে, প্রতি বছর গড়ে ৩ লক্ষাধিক ব্যক্তি যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় নিরলস প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ৯০ শতাংশেরও বেশি যক্ষ্মা রোগীকে প্রতি বছর সুস্থ করে তোলা হচ্ছে। এছাড়াও বিগত কয়েক বছর ধরে কেইস নোটিফিকেশনের হারের প্রবৃদ্ধি যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিকে গতি দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।
টিআই/এনএফ