দেশে করোনা সংক্রমণ কমলেও গত এক সপ্তাহে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহের (১১ থেকে ১৭ অক্টোবর) ব্যবধানে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগসহ কো-মরবিডিটিতে আক্রান্তদের মৃত্যু বেড়েছে ৬.১ শতাংশ। এদিকে, স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে, এই সময়ে মোট মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৮৭.৩ শতাংশই টিকা নেয়নি।

দেশে করোনা সংক্রমণের ৪২তম এপিডেমিওলজি সপ্তাহে স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১১ থেকে ১৭ অক্টোবর এক সপ্তাহে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় ৫৫ জন। এ সময়ে আগের সপ্তাহের (১১ থেকে ১৭ অক্টোবর বা ৪১তম সপ্তাহ) তুলনায় মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে কো-মরবিডিটির হার ৬.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭১.৪ শতাংশ ডায়াবেটিসে, ৬৮.৬ শতাংশ উচ্চ রক্তচাপে, ২২.৯ শতাংশ বক্ষব্যাধিতে, ১৭.১ শতাংশ হৃদরোগে, ১৪.৩ শতাংশ কিডনিজনিত, ২.৯ শতাংশ লিভারজনিত, ৫.৭ শতাংশ স্ট্রোকে, ২.৯ শতাংশ করে থাইরয়েড, রক্ত ও মানসিক সমস্যাজনিত রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে নারী ও পুরুষের হার প্রায় সমান, পুরুষ ৫০.৯ শতাংশ ও নারী ৪৯.১ শতাংশ। যাদের অনেকেরই দুই বা তারও বেশি সহরোগ (কো-মরবিডিটি) ছিল বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে মৃতদের মধ্যে ৪৮ জনই টিকা নেয়নি, যা শতকরা হিসেবে প্রায় ৮৭.৩ শতাংশ মানুষ। বাকি সাতজন তথা ১২.৭ শতাংশ টিকা নিয়েছিল। এই সাতজনের মধ্যে পাঁচজন শুধু প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। বাকি দুজন দুই ডোজই পূর্ণ করেছিলেন।

অধিদফতরের তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত সাত কোটি ৭০ লাখ ৭২ হাজার ৪২০ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে ছয় কোটি আট লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৩ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। আর বাকি এক কোটি ৬১ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭ ডোজ মজুত আছে। এরমধ্যে দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে চার কোটি ২ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৯ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন দুই কোটি ৫ লাখ ৯৩ হাজার ৯১৪ জন।

এছাড়াও টিকা পেতে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৩৫ হাজার ৮৬৭ জন। যাদের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধন করেছেন পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ১৬ হাজার ৭৪৯ জন এবং পাসপোর্ট নিয়ে নিবন্ধন করেছেন আট লাখ ১৯ হাজার ১১৮ জন।

টিআই/ওএফ