করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র পরিবর্তন করা যাবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ সুবিধা কেবল জেলা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। কোনো ব্যক্তি যদি জেলার মধ্যে কেন্দ্র পরিবর্তন করতে চান তাহলে সেটার অনুমতি দেবে না অধিদফতর।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন কারণে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের অনেকের পক্ষেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ১ম ও ২য় ডোজ প্রাপ্তির স্থান থেকে বুস্টার ডােজের ভ্যাকসিন গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ অবস্থায় ভিন্ন জেলায় অবস্থানকালে জেলা পরিবর্তন করে সুবিধামতো যেকোনো ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র হতে বুস্টার ডােজের ভ্যাকসিন প্রদান করা যাবে। তবে একই জেলার মধ্যে কেন্দ্র পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নির্দেশনাটি প্রযােজ্য নয়।

এতে আরও বলা হয়, ভ্যাকসিনেশন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে বুস্টার ডােজ প্রদান করতে হবে এবং কিউআর কোড স্ক্যান করে তথ্য সুরক্ষা ওয়েব পাের্টালে হালনাগাদ করতে হবে। ইতােমধ্যে প্রদত্ত ভ্যাকসিনের যেসব তথ্যাদি সুরক্ষা ওয়েব পাের্টালে হালনাগাদ করা হয়নি তা অনতিবিলম্বে হালনাগাদ করার জন্য অনুরােধ করা হলাে।

এর আগে গত সোমবার (৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা এবিএম খুরশীদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, এটা (টিকাকেন্দ্র বদলানো) আগে ছিল, মাঝে কিছু সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আমাদের সুপারিশে। এখন আবার অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। তাদের জন্য টিকা কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ আবার দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর ভাববে।

টিকার কেন্দ্র বদলানোর পক্ষে আমরা ছিলাম না জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্র বদলাতে গেলে কিছু অসাধুতার ব্যাপার চলে আসে। পাসওয়ার্ডটা যাদের কাছে থাকে তারা তারা যদি এটার অপব্যবহার করে—সে আশঙ্কা থাকে। সেজন্য টিকাকেন্দ্র বদলানো এনকারেজ করিনি। কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেখা গেলো, আসলে সবসময় সবার পক্ষে একই কেন্দ্রে টিকা নেওয়া সম্ভব নয় তখন আমরা আইসিটি মন্ত্রণালয়কে কেন্দ্র পরিবর্তন করার অনুমতি বা সুযোগ নিলাম। এখন আমরা আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আবার কথা বলব, টিকা টিমের সঙ্গে বসব।

টিআই/এসকেডি