দেশে সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে বাগেরহাট জেলায় / ছবি- সংগৃহীত

দেশে করোনা সংক্রমণের হার আবারও ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের লাগাম টেনে ধরতে এরই মধ্যে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদানে জোর দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১২ জানুয়ারির পর টিকা ছাড়া সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবে না কোনো শিক্ষার্থী। কিন্তু শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির বাস্তব চিত্র বলছে ভিন্ন কথা।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে নরসিংদী ও লালমনিরহাটসহ বেশকিছু জেলা এখনও তলানিতে অবস্থান করছে। যদিও ভিন্ন চিত্র বাগেরহাটে। এ জেলায় এরই মধ্যে (রোববার পর্যন্ত সরকারি হিসাব) ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবারের মধ্যে তা শতভাগে উন্নীত হওয়ার কথা জানান জেলার সিভিল সার্জন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ জটিলতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে অনেক জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি দেরিতে শুরু হয়েছে। টিকায় আঞ্চলিক বৈষম্য দেখা দিলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাবে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির হালনাগাদ তথ্য বলছে, সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে বাগেরহাট জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্মীপুর জেলায় টিকা নিয়েছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মাদারীপুর ৮২ শতাংশ, জামালপুর ৮১ শতাংশ। সবচেয়ে কম ৪ শতাংশ করে টিকা নিয়েছে নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা। ঠাকুরগাঁওয়ে টিকা পেয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়া শুরু করে সরকার। এখন পর্যন্ত অনেক জেলায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও এমন কিছু জেলা রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার হার ১০ শতাংশের নিচে।

এদিকে, গত রোববার শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচির হালনাগাদ তথ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সেখানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে বাগেরহাট জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্মীপুর জেলায় নিয়েছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মাদারীপুর ৮২ শতাংশ, জামালপুর ৮১ শতাংশ।

নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলায় মাত্র ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী করোনার টিকা পেয়েছেন / ছবি- সংগৃহীত

সবচেয়ে কম ৪ শতাংশ করে টিকা পেয়েছে নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলার শিক্ষার্থীরা। ঠাকুরগাঁওয়ে টিকা নিয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গায় ৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। ঢাকায় টিকা নিয়েছে ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।

টিকাদানে পিছিয়ে থাকার কারণ

টিকাদানে পিছিয়ে থাকার কারণ অনুসন্ধানে বেশ কয়েকটি জেলায় যোগাযোগ করে ঢাকা পোস্ট। কথা হয় ওইসব জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে। তারা প্রত্যেকেই দেরি করে টিকা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। এছাড়া টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহে জটিলতাকেও দায়ী করেছেন কেউ কেউ।

লালমনিরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, দেশের অন্য জেলার তুলনায় আমরা অনেক দেরিতে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু করি। গত ২ জানুয়ারি থেকে শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছি আমরা। এর আগে আমরা টিকা পাইনি, যে কারণে সঠিকভাবে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। যেহেতু দেরিতে আমরা শুরু করেছি, সেক্ষেত্রে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতেও কিছুটা সময় লাগবে।

শিক্ষার্থীদের টিকাদানের নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কতদিন সময় লাগবে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো আগামী ২০ থেকে ২২ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা। এজন্য আমাদের চাহিদা অনুযায়ী নিয়মিত টিকা সরবরাহ করতে হবে। টিকার সরবরাহ ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা শেষ করতে পারব।

নির্মলেন্দু রায় আরও বলেন, আমরা নিয়মিত টিকা পাচ্ছি না। ঢাকা থেকে সাপ্লাই ও পরিবহনে সমস্যা আছে। আমাদের জেলায় গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত টিকা এসেছে মাত্র ৩৫ হাজার ৭৪০ ডোজ। টিকার সরবরাহ না বাড়ালে, পরিবহন সমস্যার সমাধান না হলে তো আমাদের কিছুই করার নেই। আমরা জানি টিকা ঢাকায় মজুত আছে, কিন্তু আমরা ঠিকভাবে পাচ্ছি না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ১২ জানুয়ারির পর টিকা ছাড়া সরাসরি ক্লাসে অংশ নিতে পারবে না কোনো শিক্ষার্থী / ছবি- সংগৃহীত

টিকাদানে এগিয়ে থাকার কারণ

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, টিকাদানে এগিয়ে রয়েছে বাগেরহাট, লক্ষ্মীপুর, জামালপুরসহ কয়েকটি জেলা। এসব জেলার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল প্রণয়ন এবং টিকার সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচিতে সফলতা এসেছে।

বাগেরহাট জেলার সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাগেরহাট জেলায় রোববার পর্যন্ত ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) এ সংখ্যা শতভাগে উন্নীত হবে। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকার বিষয়ে আমাদের কাছে যখন নির্দেশনা আসে তখনই আমরা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা ভ্যাকসিনেশন কমিটি ও শিক্ষা বিভাগকে নিয়ে মিটিং করি। এরপর উপজেলাগুলোতে উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাকে নিয়ে আমরা মিটিং করি। তাদের সবার সর্বাত্মক সহযোগিতায় আমরা দ্রুত সময়ে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে পেরেছি।

‘এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরেরও অনেক সহায়তা পেয়েছি। স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. সাবরিনা ফ্লোরার অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। নিয়মিত তারা আমাদের টিকা সরবরাহ করেছেন। টিকা পেতে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি’— যোগ করেন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ।

সমানতালে টিকাদান কর্মসূচি চালাতে হবে : ডা. মুশতাক

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা এবং সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের সমানতালে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে অবহেলার কোনো সুযোগ নেই। টিকার জন্য সারা বিশ্বে সমতা আনতে হবে; সমতা থাকতে হবে দেশের ভেতরও।

সরবরাহ ও সংরক্ষণ জটিলতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না— বলছেন সংশ্লিষ্টরা / ছবি- সংগৃহীত

একটি জেলায় শতভাগ আবার আরেকটি জেলায় বেশ কম— এর পেছনে নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হয়ত তাদের কোনো প্রস্তুতি ছিল না বা তাদের সংরক্ষণ-পরিবহনে কোনো সমস্যা আছে। না হয় এক জেলায় এত কম টিকা (নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলায় ৪ শতাংশ) দেওয়ার কথা নয়।’

‘শিশুদের দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। এটি কম তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হয়। এক্ষেত্রে লালমনিরহাটে যদি পরিবহনের সুযোগ-সুবিধা কম থাকে তাহলে তারা টিকা কম পাবে, এটাই স্বাভাবিক।’

মুশতাক হোসেন বলেন, সরকারের উদ্যোগেই সব ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা কেনা দরকার। এখন পর্যন্ত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি থেকে এগুলো ভাড়া করে কাজ চালানো হচ্ছে। ফলে নানা ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। তাদেরও হয়ত পর্যাপ্ত ট্রান্সপোর্ট নেই। যে কারণে সরকার একদিকে ব্যবহারের জন্য নিলে অন্যদিকে কম পড়ছে।

স্বাস্থ্য খাত অবহেলিত উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাত এখনো অবহেলিত। অবহেলিত এ খাতে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয় হাসপাতাল, ওষুধ আর যন্ত্রপাতিতে। রোগ প্রতিরোধের যেসব ব্যবস্থা, তার মধ্যে টিকা অন্যতম। কিন্তু সে ক্ষেত্রে আমাদের আরও বিনিয়োগের দরকার ছিল, সেটা এখন আমরা বুঝতে পারছি।

গত ১০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও টিকার আওতায় আসেনি ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী / ছবি- সংগৃহীত

আইইডিসিআরের এ উপদেষ্টা বলেন, স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে পাঁচটি উপাদান, সেখানে রোগের চিকিৎসা হলো একটি উপাদান। এটি অবশ্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আরও যে চারটি উপাদান আছে সেগুলো নিয়েও তো ভাবতে হবে। আমাদের নজর হলো শুধু চিকিৎসাকেন্দ্রিক। বড় বড় হাসপাতাল কয়টা করা যায়, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল কয়টা করা যায়— এগুলো নিয়েই আমাদের ভাবনা। এগুলো করতে তো আমার আপত্তি নেই, কিন্তু আমাদের যে টিকা সংরক্ষণের জন্য একটা আধুনিক সংরক্ষণাগার নেই, টিকাসহ ওষুধপত্র সরবরাহে যে আমাদের উন্নতমানের কোনো ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা নেই, স্বাস্থ্য উপদেশ দেওয়ার জন্য প্রতিটি স্কুলে যে স্বাস্থ্যকর্মী নেই— এসবে আমাদের কোনো নজর নেই। আমাদের অবশ্যই বিষয়গুলোর ওপর জোর দিতে হবে।

মিটিংয়ে ব্যস্ত টিকা কর্মসূচির পরিচালক!

টিকায় আঞ্চলিক বৈষম্য প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। অফিস সময়ে ফোন দেওয়া হলে তিনি ‘ব্যস্ত আছেন’ জানিয়ে সন্ধ্যার পর যোগাযোগ করতে বলেন। সন্ধ্যার পর কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সব শিক্ষার্থীকে আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অন্তত এক ডোজ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৩৯৭টি উপজেলা বা থানায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে, ৫৬ উপজেলা বা থানায় ২০ জানুয়ারির মধ্যে, ১৫ উপজেলা বা থানায় ২২ জানুয়ারির মধ্যে, ৩৫ উপজেলা বা থানায় ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং ১১ উপজেলা বা থানায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের টিকাদান শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

টিকার আওতায় নেই ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী

গত বছরের ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণির ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দিয়ে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর ১ নভেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।

টিকা সংরক্ষণে আধুনিক সংরক্ষণাগার, সরবরাহে উন্নত ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা / ছবি- সংগৃহীত
দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী আছে এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী। পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী। বাকি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থী এখনও প্রথম ডোজের টিকা পায়নি

পরদিন আবার ঢাকার আটটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান শুরু হয়। এগুলো হলো- বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানমন্ডির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল।

গত ২৬ নভেম্বর থেকে সারা দেশের স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ধাপে ৪৭টি জেলা শহরে কেন্দ্র স্থাপন করে টিকা দেওয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সারা দেশের স্কুলগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।

গতকাল ১০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী আছে এক কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী। পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে চার লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী। বাকি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থী এখনও প্রথম ডোজের টিকা পায়নি। সে হিসেবে এখনও টিকার আওতায় আসেনি ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী।

টিআই/এসকেডি/এমএআর/