কলকাতায় শুরু হলো বইমেলা, থিম কান্ট্রি বাংলাদেশ
প্রতি ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের মতো কলকাতাতেও অনুষ্ঠিত হয় বইমেলা। সে ধারাবিহকতায় আজ থেকে শুরু হলো কলকাতা বইমেলার ৪৫তম আসর।
আজ সোমবার বিকেলে ৪৫ বার ঘণ্টা বাজিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হওয়া মেলা চলবে ১৩ মার্চ পর্যন্ত চলবে। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মমতা ঘোষণা করেন, সেন্ট্রাল পার্কের নাম এ বার থেকে ‘বইমেলা প্রাঙ্গণ’ বলে পরিচিত হবে।
বিজ্ঞাপন
প্রতিবছর এ মেলা অনুষ্ঠিত হলেও এ বছরের কলকাতা বইমেলা বহু প্রতীক্ষিত। কারণ, করোনা পরিস্থিতি কোন পথে যায় তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল সবার মধ্যে। বিশেষ করে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে ভারতকে যে পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল, ওমিক্রনকে নিয়েও আবার তেমন ভয় মাথা চাাড়া দিয়ে উঠছিল।
কলকাতা বইমেলার এবারের থিম দেশ বাংলাদেশ। এ ব্যাপারে মমতা বলেন, ‘বাংলাদেশ হতে পারে স্বাধীন একটা রাষ্ট্র। কিন্তু এক সময় ভারতেই ছিল। অন্য দিকে ভারতের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। দুই বাংলার সম্পর্কের সীমানা দড়ি দিয়ে আলাদা করে দেওয়া যায় না। এক দিকে জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন’, অন্য দিকে জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এক ভাষায় কথা বলি। কাঁটার বেড়া দেওয়া আছে। কিন্ত এখানকার ঐতিহ্য বাংলাদেশে পড়ে আছে। আবার বাংলাদেশের ঐতিহ্য এখানে পড়ে আছে।’
উল্লেখ্য, এ বারের বইমেলায় রয়েছে ৬০০টি স্টল। এর মধ্যে ৮৫টি বাংলাদেশি বইয়ের স্টল। লিটল ম্যাগাজিনের স্টল ২০০টি। মেলায় ঢোকা ও বের হওয়ার জন্য ৯টি তোরণ রয়েছে। এর মধ্যে তিনটি বঙ্গবন্ধুর লেখা বইয়ের আদলে। বঙ্গবন্ধুর নামে একটি গেটও রয়েছে। সত্যজিৎ রায় ও অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে রয়েছে দু’টি গেট।
এদিকে মেলার উদ্বোধনী মঞ্চ থেকেই নিজের ১২টি বই প্রকাশ করলেন মমতা ব্যানার্জি। ১২টি বইয়ের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দু’টি বই হলো ‘খেলা হবে’ ও ‘দুয়ারে সরকার’। কলকাতার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এনএফ