প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চায় ইউক্রেন
ইউক্রেন ও রাশিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক লড়াই নিয়ে সোমবার চতুর্থদফার বৈঠকে বসেছিলেন। কিন্তু মাঝপথে সেই বৈঠক স্থগিত হয়ে যায়। দুই দেশই জানিয়েছে, ‘টেকনিক্যাল’ কারণে বৈঠক স্থগিত হয়েছে। মঙ্গলবার ফের তা চালু হওয়ার কথা।
বৈঠকে ইউক্রেন কয়েকটি স্পষ্ট দাবি জানিয়েছে। প্রথমত, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে বৈঠকে বসতে হবে রাশিয়াকে। দুই, আলোচনা চলাকালীন হামলা চালানো যাবে না। সে কারণে সেনা ফিরিয়ে নিতে হবে রাশিয়াকে। রাশিয়া অবশ্য এখনও পর্যন্ত একটি দাবির সঙ্গেও সম্মত হয়নি।
বিজ্ঞাপন
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান। সংঘাত নিয়ে আলোচনা করতে চান তিনি। তবে এ বিষয়েও ক্রেমলিন এখনও পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। এরইমধ্যে দেশে জারি থাকা সামরিক আইন আরও বাড়িয়েছেন জেলেনস্কি। প্রাথমিকভাবে সামরিক আইন ২৪ মার্চ পর্যন্ত ঘোষণা করা হলেও এবার সেটি এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে সোমবার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের কথা হয়েছে। এর আগে বেনেটের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল জেলেনস্কির। বেনেটকে তিনি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করলে জেরুজালেমে পুতিনের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসতে পারেন।
বিজ্ঞাপন
বেনেট জানিয়েছেন, সোমবারের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে সেই বার্তাই তিনি দিয়েছেন। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেনেটের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কথা হবে। রাশিয়া নিয়ে কোন দেশের কী অবস্থান, তা নিয়েও পুতিনের সঙ্গে বেনেটের আলোচনা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংক্রান্ত সংস্থা জানিয়েছে, গত কয়েকসপ্তাহে প্রায় ২৫ লাখ শরণার্থী ইউক্রেন ছেড়ে বিভিন্ন দেশে গেছেন। এরমধ্যে বিপুল পরিমাণ নারী ও শিশু আছে। বস্তুত, ইউএনএইচসিআর ইউক্রেনের শরণার্থীদের জন্য ৫১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি ফান্ড তোলার ঘোষণা দিয়েছিল।
সোমবার তারা জানিয়েছে, ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। এখনো ৩১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। এই অর্থ দিয়ে ইউক্রেনের ভেতর আটকে থাকা এবং বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যাওয়া মানুষকে সাহায্য করা হবে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে
টিএম