তেলের দামে লাগাম টানতে আমিরাত-সৌদিতে সফর জনসনের
ছবি: ব্লুমবার্গ
ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে থাকা জ্বালানির দামে লাগাম টানতে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দুই দেশ সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে গিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
রাশিয়ার জ্বালানির পর নির্ভরশীলতা কমানো এবং বিকল্প জ্বালানি জোট গঠনও এই সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে নিশ্চিত করেছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট।
বিজ্ঞাপন
বুধবার সকালে আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে পৌঁছান বরিস জনসন; সেখানে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দুপুরের পর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক বসতে সৌদির পথে রওনা হন তিনি।
বিকেলের মধ্যেই তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পৌঁছেছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা এসপিএ।
বিজ্ঞাপন
ডাউনিং স্ট্রিট অবশ্য মঙ্গলবারই জানিয়েছিল এ সফর সম্পর্কে। এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ‘প্রধান আন্তর্জাতিক অংশীদার’ হিসেবে উল্লেখ করে ডাউনিং স্ট্রিটের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘বর্তমানে আমরা যে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখী হয়েছি, তা মোকাবিলায় একটি আন্তর্জাতিক জোট গঠনের চেষ্টা করছে যুক্তরাজ্য। বিশ্বকে অবশ্যই রুশ হাইড্রোকার্বন ও পুতিনের তেল গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।’
‘আর এই প্রচেষ্টায় সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আমাদের প্রধান আন্তর্জাতিক অংশীদার। আঞ্চলিক নিরাপত্তা, মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা ও জ্বালানির আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল রাখতে এই অংশীদারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে কাজ করব আমরা।’
এর আগে গত ৯ মার্চ একই অভিপ্রায়ে সৌদি যুবরাজ মোহম্মদ বিন সালমান ও আমিরাতের যুবরাজ মোহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য টেলিফোনে চেষ্টা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন; কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হয়নি। দুই যুবরাজের কাউকেই ফোনে পাননি তিনি।
এক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য প্রাথমিকভাবে সফল; দুই যুবরাজের সঙ্গেই তার সাক্ষাৎ ও বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকের ফলাফল সম্পর্কে এখনও কিছু বলেনি যুক্তরাজ্যের সরকার।
এদিকে, ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের জেরে রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে যুক্তরাজ্যে হু হু করে বাড়ছে জ্বালানির দাম। যুক্তরাজ্য সরকারের বাণিজ্য, জ্বালানি ও শিল্প নীতি বিভাগ বিইআইএসের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েকদিন ধরে দেশটিতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ২ পাউন্ড বেড়েছে, আর গৃহস্থালী কাজে ব্যবহারযোগ্য গ্যাসের দাম বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
সূত্র: স্পুটনিক, ব্লুমবার্গ
এসএমডব্লিউ