ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভের একটি বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। শুক্রবার সকালের দিকে বিমানবন্দর এলাকায় অন্তত ৩ টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

লভিভের মেয়র আন্দ্রিয়ে সাদোভি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রুশ বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিমানবন্দরের উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ ভবনসহ সংলগ্ন কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তবে কেউ হতাহত না হলেও শুক্রবারের এই হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউক্রেনের সরকার ও তাদের মিত্র দেশসমূহ। কারণ, যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে এতদিন পর্যন্ত এই শহরটিকে নিরাপদ বলে মনে করা হচ্ছিল। দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল থেকে লাখ লাখ মানুষ বর্তমানে লভিভের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্যপদ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

কিন্তু এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে— যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া; এবং তার দু’ দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেছিল রুশ বাহিনী। শুক্রবার ২৩তম দিনে পৌঁছেছে এই অভিযান।

অভিযানের প্রথম দু’সপ্তাহ ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে যুদ্ধ করলেও তৃতীয় সপ্তাহ থেকে পশ্চিমাঞ্চলীয় শহরগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে রুশ সেনারা।

সূত্র: রয়টার্স

এসএমডব্লিউ