ভারতে জেএমবির বোমারু মিজানের ২৯ বছরের জেল
পশ্চিমবঙ্গে খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ‘মূলহোতা’ কাওসার ওরফে ‘বোমারু’ মিজানকে ২৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভারতের বিশেষ একটি আদালত। ২০১৮ সালের আগস্টে দেশটির জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি।
বাংলাদেশের নাগরিক কাওসার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) অন্যতম নেতা। বুধবার এনআই এর বিশেষ আদালত দেশদ্রোহিতা, বিস্ফোরক আইন ও বিদেশি আইনের ধারায় মোট ২৯ বছরের দণ্ড দিয়েছেন তাকে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের লস্কর-ই-তইয়েবার ক্যাম্পে তিনি প্রশিক্ষণ নেন এবং ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের বোমা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। বোমা তৈরির দক্ষতার কারণেই সংগঠনে তার নাম হয় ‘বোমা মিজান’ বা ‘বোমারু মিজান’।
২০১৪ সালের ২ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান শহরের কাছে খাগড়াগড়ের একটি ভাড়া বাড়িতে বোমা তৈরির জন্য বানানো কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। ওই বিস্ফোরণে দুজন জেএমবি জঙ্গির মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
বিস্ফোরণের ওই ঘটনার পর প্রকাশিত হয় যে, বাড়িটি ছিল জেএমবির অস্ত্র কারখানার ঘাঁটি। ওখানেই তৈরি হতো গ্রেনেড ও বোমা। পরে তা পাঠিয়ে দেওয়া হতো বাংলাদেশে। আর তার প্রধান কারিগর ছিলেন এই ‘বোমারু’ মিজান।
খাগড়াগড়-কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ ও নিষিদ্ধ জেএমবির শীর্ষ নেতা ৪০ বছর বয়সী ‘বোমারু’ মিজান গ্রেপ্তার হওয়ার আগে তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এনআইএ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
বাংলাদেশে যাবজ্জীবন সাজার আসামী মিজান পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানে বোমা বিস্ফোরণ ছাড়া বিহারের বুদ্ধ গয়া বিস্ফোরণের সাথেও জড়িত। পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইয়েবার কুখ্যাত জঙ্গি নসরুল্লাহর কাছ থেকে বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন তিনি।
কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ২০০৭ সালে চট্টগ্রামের একটি আদালত মিজানকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেন। চট্টগ্রামের আদালতে বোমা হামলার দায়ে পরের বছর তার ২৬ বছর এবং বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম রাখার দায়ে ঝিনাইদহে তার ১৫ বছরের কারাদণ্ড হয়।
চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে বোমা হামলার দায়ে ২০০৮ সালে আরেকটি আদালত মিজানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। আর এক বিচারকের এজলাসে বোমা হামলার দায়ে তার হয় ২০ বছরের কারাদণ্ড। ২০১৭ সালে আরেক মামলার রায়ে চট্টগ্রামের আদালত বোমা মিজানকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন।
এএস