কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ভাষায় চিঠি দিয়ে ‘হুমকি’ দেওয়ার অভিযোগে ইসলামাবাদে নিযু্ক্ত মার্কিন মিশনের ভারপ্রাপ্ত উপপ্রধানকে তলব করে কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছে পাকিস্তান। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চিঠির বিষয়ে বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটির (এনএসসি) বৈঠক হয়। এ বৈঠকে হুমকির চিঠির বিষয়ে কূটনৈতিকভাবে কড়া প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পদক্ষেপ নিল ইসলামাবাদ।

ইসলামাবাদের মার্কিন কূটনীতিককে তলব করে কড়া প্রতিবাদ জানানোর আগে হুমকির চিঠির বিষয়টি পাকিস্তানের সামরিক নেতৃত্ব ও কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রিপরিষদকে অবহিত করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

এরপর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে চিঠির বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি ‘মুখ ফসকে’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাম বলে দেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা তিনি শুধরে নেন। ইমরান বলেন, আমি আজ এখানে, তার কারণ ৮ মার্চ বা তার আগে ৭ মার্চে যুক্তরাষ্ট্র থেকে....না, যুক্তরাষ্ট্র নয়, আমি বলতে চেয়েছি অন্য কোনও একটি ভিনদেশ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি, একটি স্বাধীন দেশের জন্য এই ধরনের বার্তা শুধু প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয় বরং এটা একইসঙ্গে দেশের বিরুদ্ধেও।’

যুক্তরাষ্ট্রের দিকে ইঙ্গিত করে ইমরান খান বলেন, তারা আগেই জানত অনাস্থা ভোট হবে। অথচ তখনও অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। এর অর্থ হলো বিরোধীরা বিদেশের এসব মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তারা বলছেন, তারা পাকিস্তানের ওপর ক্ষুব্ধ। তারা অজুহাত তৈরি করছে। তারা বলছে, তারা পাকিস্তানকে ক্ষমা করে দেবে যদি অনাস্থা ভোটে ইমরান খান হেরে যান। কিন্তু যদি এই পদক্ষেপ ব্যর্থ হয় তাহলে পাকিস্তানকে কঠিন সময় পার করতে হবে।

গত ৮ মার্চ পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৪ ধারার অধীনে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত এক প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের প্রতি অনাস্থা ভোটের জন্য জাতীয় পরিষদে প্রস্তাব জমা দেয়। বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব পেশ এবং এটিতে ভোটের জন্য আইনসভা অধিবেশনের অনুরোধ করার একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির চিঠিটি পাঠানো হয়।

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত আসাদ মাজিদ এবং দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট ডোনাল্ড লু-এর সাথে বৈঠকের ভিত্তিতে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছিল। 

সূত্র : জিও নিউজ ও পার্স টুডে।

এনএফ