শনিবার তেলআবিবের কাছে একটি মেডিক্যাল সেন্টারে কোভিড-১৯ টিকা নেন ৭১ বছর বয়সী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু

করোনার টিকা নিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) প্রথম ইসরায়েলি নাগরিক হিসেবে করোনার টিকা নেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হলো। এখন থেকে প্রতিদিন ৬০ হাজার ডোজ টিকা দেওয়া হবে বলে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে দেশটি। খবর আলজাজিরা ও ইন্ডিয়া টুডের।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু শনিবার টিকা নিলেও রোববার (২০ ডিসেম্বর) থেকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্যকর্মীসহ অন্যদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে।

শনিবার রাজধানী তেলআবিবের কাছে একটি মেডিক্যাল সেন্টারে ফাইজার/বায়োএনটেকের তৈরি টিকা নেন ৭১ বছর বয়সী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসময় দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ইসরায়েলের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও টিকা নেন। তাদের টিকা নেওয়ার দৃশ্য রাষ্ট্রীয় ও অন্যান্য টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা করা হয়। কার্যক্রম শুরুর প্রথম দিনে এ দুজন ছাড়াও ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালকসহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তাও টিকা নেন।

টিকা নেওয়ার আগে নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমি করোনার টিকায় বিশ্বাস করি। তাই আমি সবার আগে টিকা নিতে চেয়েছিলাম। বিশেষ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি এদেল স্তেইনের সঙ্গে। এর মধ্য দিয়ে আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চেয়েছিলাম। মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করতে চেয়েছি। এটা জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মুহূর্ত। টিকার নেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আবার পুরোদমে শুরু হবে। নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।’

এরপর নেতানিয়াহু তার ডান হাতের শার্টের অংশ গুটিয়ে নেন এবং কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে টিকা নেন। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে নেতানিয়াহু ও তার স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে একটি বুস্টার ডোজ নিতে হবে। আর সেটা নিলে তারা করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।

রোববার থেকে ইসরায়েলের ১০টি হাসপাতাল ও বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনার টিকা পাবেন। এরপর সর্বসাধারণের জন্য টিকাদান কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হবে। তবে সেখানে ষাটোর্ধ্ব নারী-পুরুষরা অগ্রাধিকার পাবেন। এটা হতে যাচ্ছে ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টিকাদান কর্মসূচি।

গত সপ্তাহেই ফাইজার/বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রথম চালান ইসরায়েলে পৌঁছায়। অর্ডার করা হয়েছে মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনও। চলতি বছরের মধ্যেই ২০ শতাংশ নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয় ডোজ সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

টিএম