প্রথমবারের মতো ভারতে পাঁচ জনের দেহে করোনার অতি-সংক্রামক দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিলের ধরনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এমন তথ্য জানানো হয়। এর আগে দেশটিতে ব্রিটেনের ধরনও শনাক্ত হয়েছিল। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতে চার জন করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন এবং একজন ব্রাজিলের ধরনে সংক্রমিত হয়েছেন। এরপর উল্লিখিত দুই দেশ থেকে ভারতে প্রবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপের কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। 

মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকা, অ্যাঙ্গোলা ও তানজানিয়া থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে চার জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ওই চার জনসহ আক্রান্ত সবাইকে কোয়রেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

আইসিএমআর’র মহাপরিচালক বলরাম ভার্গব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছেন, তাদের অধীনস্থ সংস্থা পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাজিলের ধরনে আক্রান্তের জিনের বৈশিষ্ট নিয়ে ইতোমধ্যেই বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

এদিকে করোনায় শীর্ষ সংক্রমিত দেশ ভারতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমে ১০ হাজারের নীচে নেমেছে। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় বুলেটিনে জানিয়েছে, গত চব্বিশ ঘণ্টা গোটা ভারতে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা নয় হাজারের কাছাকাছি।

শুধু কেরালা এবং মহারাষ্ট্র ছাড়া মোটামুটি প্রতি রাজ্যেই করোনার সংক্রমণে কার্যত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এমন সময়ে ভারতে করোনার দক্ষিণ আফ্রিকান ও ব্রাজিলীয় ধরনের শনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, ভারতে এ পর্যন্ত করোনার ব্রিটিশ ধরনে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ১৮৭ জনে। করোনার অতি-সংক্রামক নতুন তিনটি ধরনের সংক্রমণ শনাক্তে ভারতে করোনার প্রকোপ বাড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। 

দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল থেকে আসা যাত্রীদের কড়াকড়ি নিয়ে বলরাম ভার্গব বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা বা ব্রাজিল থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। তবে স্বাস্থ্য ও বেসরকারি পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে যা যা করণীয়, সে প্রচেষ্টা শুরু করেছে।’

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, ‘ব্রিটেন থেকে আসা সমস্ত যাত্রীদের বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করা হচ্ছে। পজিটিভদের জিন বিন্যাস খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করি এই দুই দেশের ক্ষেত্রেও একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে।’

এএস