দলীয় চার জন বিধায়ক পদত্যাগ করার পর পতনের মুখে পড়েছে ভারতের পদুচেরি রাজ্যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) চক্রান্তেই তাদের বিধায়করা পদত্যাগ করছেন। 

দলত্যাগীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক জন কুমার। বিধায়কদের এমন পদত্যাগের পর মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী। বলা হচ্ছে, বৈঠক থেকেই সরকার ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিতে পারেন তিনি।

পদুচেরির আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার চালানোর জন্য আগামীকাল বুধবার রাজ্যটিতে সফরে যাওয়ার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। তার আগেই কংগ্রেসের চার বিধায়ক পদত্যাগ করায় কিছুটা ‘ব্যাকফুটে’ চলে গেছে কংগ্রেস।

তবে বিরোধীদের দাবি তোলার আগে নিজে সরকার ভেঙে দিয়ে ভোটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে পদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী নয়া কৌশল নিতে পারেন বলে সূত্রের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

পদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামী

কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপির চক্রান্তেই একের পর এক বিধায়ক ইস্তফা দিচ্ছেন। পদুচেরির সমাজকল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রী কান্ধস্বামী এক ভিডিও বার্তায় বিজেপির টাকার বদলে দলবদলের প্রলোভন দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, ‘‌পদুচেরির সরকার পতনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পুদুচেরির উপ-রাজ্যপাল কিরণ বেদী ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তবে দু’সপ্তাহের মধ্যেই ভোটের ঘোষণা হয়ে যাবে। সরকার ভেঙে দিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী।’

২০১৬ সালের নির্বাচনে পদুচেরির ৩০ আসনের ১৫টিতে জেতে কংগ্রেস। এনআর কংগ্রেস পায় ৮ আসনে। এআইএডিএমকে ৪টি, ডিএমকে ২টি ও একটিতে জিতেছিল স্বতন্ত্র প্রার্থী। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৬ আসনে জয়।

ডিএমকের সঙ্গে জোট করে সরকার গড়ে কংগ্রেস। কিন্তু জানুয়ারি একাধিক বিধায়কের পদত্যাগের সরকার সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, এ বছরে পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার সঙ্গে নির্বাচন হবে পুদুচেরিতেও।

এএস