চার রাজ্য দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বে রদবদল শুরু
তেলেঙ্গানা, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্র— ভারতের এই চার রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক নেতৃত্বে রদবদল আনা হচ্ছে। শনিবার দিল্লিতে চার রাজ্যের কংগ্রেসের বিদ্রোহী সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
বৈঠকে এই চার রাজ্যে কংগ্রেসের পরিস্থিতি সম্পর্কে যা উঠে এসেছে তা হলো, হায়দরাবাদে স্থানীয় নির্বাচনে দলের বাজে ফলাফলের দায় নিয়ে সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তেলেঙ্গানা রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি উত্তম কুমার রেড্ডি। গুজরাট নির্বাচনে দল বাজে ফলাফলের দায় নিয়ে একই পথে হেঁটেছেন গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভদা।
বিজ্ঞাপন
শনিবার সোনিয়া গান্ধী, এবং তার দুই সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র দলের বিদ্রোহী সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন
শনিবার মুম্বাই কংগ্রেস কমিটির নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা হয়েছে। মুম্বাইয়ে কংগ্রেসের সভাপতি করা হয়েছে বালাসাহেব থোরাট’কে। দলে সভাপতির দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মুম্বাই বিধানসভায় কংগ্রেসের নেতা হিসেবেও দায়িত্বে থাকবেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
আসাম এবং কেরালায় আগামী বছরের প্রথমভাগেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনে আসাম কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জীতেন্দ্র সিং এবং কেরালা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তারিক আনোয়ারকে সহযোগিতা করতে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি’র (এআইসিসি) তিনজন সম্পাদককে দায়িত্ব দিয়েছেন দলের অন্তবর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নেতৃত্বের প্রশ্নে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে যে বিবাদ দেখা দিয়েছে
শনিবার সোনিয়া গান্ধী, এবং তার দুই সন্তান রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র দলের বিদ্রোহী সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে নেতৃত্বের প্রশ্নে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসে যে বিবাদ দেখা দিয়েছে, তা মিটমাট করতেই এই সাক্ষাৎ এবং বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী ১০ দিন এই বৈঠক চলবে।
এর আগের দিন শুক্রবার কংগ্রেসের শীর্ষ মুখপাত্র রণদীপ সূর্যেওয়ালা জানিয়েছিলেন, কংগ্রেসের ৯৯.৯ শতাংশ নেতাকর্মী রাহুল গান্ধীকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বে দেখতে ইচ্ছুক।
কয়েক বছর ধরেই দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে পরাজয়ের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে পিছিয়ে পড়ছে কংগ্রেস
আগস্টে কংগ্রেসের ২৩ জন নেতার একটি দল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব বরাবর একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে তারা বলেছিলেন, তারা দলের শীর্ষ পর্যায়ে একটি সার্বক্ষণিক, সক্রিয় এবং দৃশমান নেতৃত্ব দেখতে চান এবং দলীয় পর্যায়ে যে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবার মতামতের প্রতিফলন প্রত্যাশা করেন।
কয়েক বছর ধরেই দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোতে পরাজয়ের কারণে বিভিন্ন রাজ্যে পিছিয়ে পড়ছে কংগ্রেস। সর্বশেষ গত লোকসভা নির্বাচনে কর্ণাটক ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নেতৃত্বও হাতছাড়া হয়ে যায় ভারতের বর্তমান প্রধান বিরোধী দলটির।
এসএমডব্লিউ/এএস