নেপালের পার্লামেন্ট (প্রতিনিধি পরিষদ)

প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সুপারিশ গ্রহণ করে নেপালের পার্লামেন্ট (প্রতিনিধি পরিষদ) ভেঙ্গে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট। 

প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধানের ৭৬ (ধারা ১ ও ৭) এবং ৮৫ অনুচ্ছেদের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার জন্য মন্ত্রিপরিষদের সুপারিশে অনুমোদন দিয়েছেন। 

শনিবার দলের শীর্ষ নেতা ও আজ রোববার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি

দেশটির জাতীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্টের রোববারের অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ছাড়াও মন্ত্রিসভার সুপারিশ অনুযায়ী আগামী ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

গতকাল শনিবার দলের শীর্ষ নেতা ও আজ রোববার মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। এরপর তিনি সরকারের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্টেকে সেই সুপারিশ করেন।  

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি

কাঠমান্ডু পোস্টসহ নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রোববার সকালে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডেকেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হোক।

প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীর তথ্য ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ টিকা ধাকাল এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে সরকারের সুপারিশ গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট। আগামী বছরের ৩০ এপ্রিল ও ১০ মে নির্বাচন হবে।’ 

পুষ্প কামাল দহাল, মাধব নেপাল এবং ঝালা নাথ খানালের নেতৃত্বাধীন বিরোধী অংশের তোপে প্রধানমন্ত্রী ওলি এখন দলে সংখ্যালঘু।

তবে কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির সংবিধান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এমন কোনো প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারেন না। 

অলির পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পদক্ষেপে তার নেপালি কমিউনিস্ট পার্টিতে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। পুষ্প কামাল দহাল, মাধব নেপাল এবং ঝালা নাথ খানালের নেতৃত্বাধীন বিরোধী অংশের তোপে দলে তিনি এখন সংখ্যালঘু। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য এবং সরকার চালাতে ব্যর্থতার অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে। 

কাঠমান্ডু পোস্ট ওই প্রতিবেদনে আরও লিখেছে, সংবিধান পরিষদীয় আইনের অধ্যাদেশের বিষয়টি নিয়ে ক্রমাগত চাপ বাড়ছিল প্রধানমন্ত্রী ওলির ওপর। গত মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারীকে দিয়ে তা সই করিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিরুদ্ধে একটা অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল।

এএস