দরিদ্র দেশগুলোতে কিছু টিকা দিতে চান ম্যাক্রোঁ
মোট করোনা টিকার ৭৫ শতাংশ পেয়েছে মাত্র ১০টি দেশ। অথচ ১৩০টি দেশ টিকার একটি ডোজও পায়নি। জাতিসংঘ বিষয়টি নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশের পরদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ গরীর দেশগুলোর ওপর ধনী দেশগুলোকে সদয় হওয়ার আহ্বান জানালেন।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউরোপ ও আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, তারা যেন তাদের হাতে থাকা করোনা টিকার সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত জরুরিভিত্তিতে গরীব ও উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সরবরাহ করে।
বিজ্ঞাপন
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমসকে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, যথাযথভাবে টিকার ভাগাভাগির ব্যর্থতার কারণে বৈশ্বিক অসমতার সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য, বিশ্বের যেসব দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে তার বেশিরভাগই উন্নত দেশ। এরমধ্যে ফ্রান্সও রয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা তাৎক্ষণিকভাবে শতকোটি ডোজ করোনা টিকা কিংবা শতকোটি ইউরো বা ডলারের কথা বলছি না। আমাদের হাতে যেসব টিকা মজুত আছে এর মধ্যে ৪ থেকে ৫ শতাংশ টিকা জরুরিভিত্তিতে দেওয়ার বিষয় নিয়ে কথা বলছি।’
বিজ্ঞাপন
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘এতে করে আমাদের টিকাদান কর্মসূচির তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না। তবে প্রতিটি দেশেরে হাতে থাকা লাখ লাখ ডোজ টিকার মধ্যে কিছু টিকা আলাদা করে তা সরবরাহ করতে হবে। আর এটা আমাদের করতে হবে খুবই দ্রুত গতিতে।’
শুক্রবার উন্নত দেশগুলোর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক জোট জি-৭ এর ভার্চুয়াল সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে বিশ্বজুড়ে টিকা নিয়ে শুরু হওয়া বৈষম্য ও টিকা জাতীয়তাবাদের কারণে সৃষ্ঠ অসমতার বিষয়ে কথা বলার সময় নিজের এমন পরিকল্পনার কথা জানালেন ম্যাক্রোঁ।
নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এখন গরীব দেশের টিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, গরীব ও উন্নয়নশীল দেশে টিকা পৌঁছানোর জন্য গঠিত ভ্যাকসিন জোট ‘কোভ্যাক্সে’ ৪০০ কোটি ডলার অনুদানের ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
এএস