গত ১৯ ডিসেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ইসরায়েল

ইসরায়েলে ফাইজারের করোনা টিকার দুটি ডোজ গ্রহণকারীদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের হার ৯৫ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হলে জ্বর বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা প্রতিরোধে ফাইজারের টিকা ৯৮ শতাংশ কার্যকর। এছাড়া হাসপাতালে স্থানান্তর বা অতি জাটিল পরিস্থিতিতেও এই টিকা ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ কার্যকর বলে জানানো হয়েছে।

বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ তারিখের দুই সপ্তাহ আগপর্যন্ত অর্থ্যাৎ গত ৩০ জানুয়ারির মধ্যে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া ইসরায়েলিদের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই ফলাফল জানিয়েছে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৭ লাখ ইসরায়েলি ফাইজারের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া দেশটির ষাটোর্ধ্ব মানুষদের ৯০ শতাংশই করোনার টিকা নিয়েছেন।

এর আগে ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্টেও করোনা টিকার ইতিবাচক ফলাফল জানানো হয়েছিল। যার কারণে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা লকডাউন উঠিয়ে নিয়ে অর্থনীতিকে স্বাভাবিক গতিতে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহ পায় ইসরায়েল। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) থেকে স্কুল ও অনেক দোকানপাট আবারও খুলে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৯ ডিসেম্বর টিকাদান কর্মসূচি শুরু করে ইসরায়েল। প্রতিদিন গড়ে দেড় লাখ বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ষাটোর্ধ্বদের আগে প্রতিষেধক দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্তদের প্রথম সারিতে টিকা দেয় দেশটি। চলতি বছরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ১০ লাখ মানুষকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্পন্ন করে ইসরায়েল, যা ছিল দেশটির মোট জনসংখ্যার ১১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এত দ্রুততার সঙ্গে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারার কারণ হিসেবে সেসময় বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলে প্রত্যেক বাসিন্দার স্বাস্থ্য বীমা (হেল্‌থ কেয়ার প্রোভাইডার) থাকা বাধ্যতামূলক। সরকার এই স্বাস্থ্য বীমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে। প্রথমে ফাইজার-বায়োএনটেক কোভিড টিকার যথেষ্ট পরিমাণ ডোজ মজুত করে সরকার, পরে বীমা সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে টিকাদান শুরু করে।

সূত্র: রয়টার্স

টিএম