নিজেদের পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের জন্য জাতিসংঘের পরমাণু নজরদারি বিষয়ক সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে তিন মাসের সময়সীমা বেধে দিয়েছে ইরান। আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান সোমবার এমন তথ্য জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।   

তড়িঘড়ি দুই পক্ষের মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তি অনুযায়ী আগামী তিন মাস ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শনের অনুমতি পেলেও আইএইএ’র পরিদর্শকদের প্রবেশাধিকার হবে সীমাবদ্ধ। এতে সহজে ইরানের পরমাণু স্থাপনা পরিদর্শনের পথ বন্ধ হয়ে গেল।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে দেশকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তেহরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রত্যাহার না হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে ইরান তার পরমাণু স্থাপনায় প্রবেশাধিকার নীতির পরিবর্তন করেছে।

ইরানের এমন সিদ্ধান্তের ফলে পরমাণু চুক্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছানোর জন্য ওয়াশিংটন ও তেহরান আরও কিছুদিন সময় পেল। 

ট্রাম্প প্রশাসন চুক্তিটি থেকে বের হয়ে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা ছাড়াও নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় পরাশক্তির সঙ্গে করা ওই চুক্তির লঙ্ঘন করে ইরান ফের তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির গতি বাড়ায়। 

ইরান বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালের চুক্তি পুরোপুরি মেনে না নিলে তারা তাদের নেওয়া এসব পদক্ষেপ থেকে সরে আসবে না। তবে নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে, ইরানকে অবশ্যই আগে তাদের এই অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সঙ্কট প্রায় ২০ বছর ধরে বিশ্ব রাজনীতির এজেন্ডা। ইরান বলে আসছে যে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যদের সন্দেহ, গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে কাজ করছে ইরান।

এএস