বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ নিয়ে জাতিসংঘে বৈঠক
জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) সোমবার তাদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দ্বিতীয়বারের মতো তিনটি সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান পর্যালোচনা করবে।
যদি এই মূল্যায়নে পাস করে তাহলে সিডিপি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে তালিকাভূক্ত করার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কাছে বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব করবে।
বিজ্ঞাপন
আগামী জুনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদনের পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রেরণ করবে। ২০২৬ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি মিলবে বাংলাদেশের।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সিডিপি তিনটি সূচকের— মাথাপিছু মোট জাতীয় আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত দুর্বলতা সূচকের— ওপর ভিত্তি করে আগামী ২২-২৬ ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব করবে।
বিজ্ঞাপন
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের তথ্যের ভিত্তিতে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান পর্যালোচনা করবে সিডিপি।
উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার এই প্রক্রিয়ায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে তিন বছর অন্তর জাতিসংঘের দুটি মূল্যায়নে পাস করতে হয়। যেখানে মূল্যায়ন করা হয় তিনটি সূচক। যদি এই তিনটি সূচকের মধ্যে দুটিতে ভালো কাজ করে তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের তালিকায় উন্নীত করার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়।
২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের নির্ধারিত শর্ত পূরণ করেছিল বাংলাদেশ।
কোনো স্বল্পোন্নত দেশই এখনো তিনটি সূচকে ভাল পারফরম্যান্স করতে পারেনি। তবে জাতিসংঘের দেওয়া নির্ধারিত মানের তুলনায় বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে।
২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ যোগ্যতা অর্জন করলেও মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনা করে ২০২৬ সালে এই উন্নীতকরণ চায় বলে ইতোমধ্যে সিডিপিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
এএস