হোটেল-রেস্তোরাঁয় খেতে গেলে সার্ভিস চার্জের কারণে বাড়তি বিলের বোঝা বইতে হয় ভোক্তাকে। খাবারের দামের সঙ্গে বিলের পার্থক্য থাকে বিস্তর। ভোক্তাদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ আসছিল বারবার। এবার অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জে লাগাম টেনে ধরল ভারতের কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দিল যে গ্রাহকদের কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ নিতে পারবে না হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো। এর ব্যতিক্রম হলে মামলা করতে পারবেন ভোক্তারা।

হোটেল ও রেস্তোরাঁর সার্ভিস চার্জ নিয়ে ভোক্তাদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। ‘পরিষেবা মূল্য’ বলে যে অতিরিক্ত টাকা বিলে সেঁটে দেওয়া হয় তার কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি নেই বলেই অভিযোগ। গত জুলাই মাসে জাতীয় রেস্তোরাঁ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে এক বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার কোনো আইনি বৈধতা নেই, এই কাজ অন্যায্য। তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।

এমন পরিস্থিতিতে ভারতের ‘সেন্ট্রাল কনজ্যুমার প্রোটেকশন অথরিটি’ তথা কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গাইড লাইনে স্পষ্ট জানিয়েছে, রেস্তোরাঁ-হোটেলে সার্ভিস চার্জ নেওয়া যাবে না। গ্রাহকদের ওপর এমন কোনো অতিরিক্ত মূল্য চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। ভোক্তাদের জানিয়ে দিতে হবে যে সার্ভিস চার্জ দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ নির্দেশনায় স্পষ্ট জানিয়েছে, যদি কোনো হোটেল বা রেস্তোরাঁ নির্দেশনা অগ্রাহ্য করে পরিষেবা মূল্য বা সার্ভিস চার্জ আদায় করে সেক্ষেত্রে ন্যাশনাল কনজ্যুমার হেল্পলাইনে অভিযোগ জানাতে পারবেন ক্রেতা বা ভুক্তভোগীরা।

২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয় সার্ভিস চার্জের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দেশনা জারি করেছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, সার্ভিস চার্জ বাধ্যতামূলক নয়। এটি গ্রাহকের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। পাশাপাশি খাদ্য বিলে লেভি বা সার্ভিস চার্জ বৈধ নয় বলেও জানানো হয়। এই চার্জ ক্রেতা দিতে চাইলে দিতে পারেন আর দিতে না চাইলেও জোর করা যাবে না। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট হোটেল বা রেস্তোরাঁর বিরুদ্ধে উপভোক্তা ফোরামে যেতে পারেন গ্রাহক।

এসএসএইচ