চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং ই বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মেরামত হলে জলবায়ু পরিবর্তন এবং করোনাভাইরাস মহামারির মতো সঙ্কটগুলো নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে দুই দেশের সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে একেবারে তলানিতে পৌঁছানোর পর ওয়াশিংটনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা পুনরায় শুরু করতে বর্তমানে বেইজিং প্রস্তুত আছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

চীনা পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বর্জনের নীতি বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াং ই। এসব পদক্ষেপকে চীনের প্রযুক্তি খাতের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের অযৌক্তিক দমনের নীতি বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

ওয়াং ই চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি ফোরামের বৈঠকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ১৯৭২ সালের মতো পিং পং কূটনীতি খেলছেন। ওই সময় টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের বিনিময়ের শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের চীন সফরের পথ পরিষ্কার হয়।

চীনের মৌলিক স্বার্থের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন, ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনা ও বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতি সমর্থন বন্ধে ওয়াশিংটনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওয়াং। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মূলত সব পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা বন্ধ রেখেছে।

চীনা এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খোলামেলা যোগাযোগ এবং সমস্যার সমাধানে সংলাপের জন্য প্রস্তুত আছি।  সম্প্রতি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘণ্টাব্যাপি ফোনালাপকে ইতিবাচক পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেন ওয়াং।

জিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিরুদ্ধে চীনের মানবাধিকারের লঙ্ঘন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সংকট ও দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানার দাবিসহ বেশ কিছু বিষয়ে ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিবাদ চলে আসছে। ট্রাম্প প্রশাসনের আমলে এসব সংকট প্রকট আকার ধারণ করলেও সমাধানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বেইজিংয়ের ওপর চাপ প্রয়োগের নীতি অব্যাহত থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সূত্র: রয়টার্স।

এসএস