জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের জান্তাবিরোধী অবস্থান
জাতিসংঘে নিয়োজিত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি জাতিসংঘকে মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় যে কোনো ব্যবস্থা’ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেয় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে আটক করা হয় অং সান সু চিসহ তার দল এনএলডির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের।
বিজ্ঞাপন
অং সান সু চির সরকারের পক্ষে বক্তব্য রেখে জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত শুক্রবার জাতিসংঘকে ‘সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং মিয়ানমারের জনগণের সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য’ অনুরোধ করেন।
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সাধারণ পরিষদের ওই অধিবেশনে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুন বলেন, ‘অবিলম্বে সেনা অভ্যুত্থানের অবসান, নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন বন্ধ, রাষ্ট্রক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন আমাদের।’
বিজ্ঞাপন
সাধারণ পরিষদের ওই বিশেষ অধিবেশনে মিয়ানমারের ক্ষমতাধর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে এমন বক্তব্য দেওয়ার পর উপস্থিতি প্রতিনিধিরা করতালির মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুনকে অভিনন্দিত করেন।
মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারকে স্বীকৃতি না দিতে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে এসব দেশের পক্ষ থেকে যেন স্বৈরশাসকদের কোনো প্রকারের সহায়তা না করা হয় সেই অনুরোধও করেন তিনি।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের প্রতি সহিংস পদক্ষেপ বন্ধ করতে সম্ভাব্য সবচেয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের এবং জনগণের জন্য একটি সরকার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই চালিয়ে যাবো।’
এএস