ইতালিতে প্রাচীন রোমান সভ্যতার পম্পেই নগরীর ধ্বংসাবশেষে একটি ঘোড়ায় টানা রথের সন্ধান পেয়েছে প্রত্নতত্ত্ববিদদের একটি দল। রথটির গঠন ও সাজসজ্জা দেখে প্রত্নতত্ত্ববিদরা ধারণা করছেন, তিন ঘোড়ায় টানা চার চাকার এই রথটি উৎসব, বিয়ে বা এ জাতীয় কোনো উপলক্ষ্যে সড়কে নামানো হতো।

প্রত্নতত্ত্ববিদদের দলটির প্রধান ম্যাসিমো ওসান্না এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পম্পেই নগরীর ধ্বংস হয়ে যাওয়া একটি আস্তাবলের মাটি খুঁড়ে এই রথটির সন্ধান পেয়েছেন তারা। লোহার তৈরি হালকা এই রথটিতে ব্রোঞ্জ ও টিনের সুন্দর কারুকাজ রয়েছে।

প্রায় দু’হাজার বছরেরও অধিক সময়ের ব্যবধানে এই রথটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি এবং প্রত্নতত্ত্ববিদরা প্রায় অক্ষত অবস্থাতেই এটি আবিষ্কার করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসান্না।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘নতুন এই আবিষ্কার প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান আরও সমৃদ্ধ করবে।’

রোমের সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী দারিও ফ্র্যান্সিশেনি এই আবিষ্কারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘পম্পেই ধারাবাহিকভাবে আমাদের মুগ্ধ করছে। এখনো যেহেতু এই নগরীর প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান পুরোপুরি শেষ হয়নি, আমার মনে হয় সামনে আমাদের জন্য আরো কিছু চমক অপেক্ষা করছে।’

ইতালির ভিসুভিয়াস আগ্নেয় পর্বতের পাদদেশে গড়ে উঠেছিল প্রাচীন রোমান সভ্যতার বিখ্যাত শহর পম্পেই। যীশু খ্রীস্টের জন্মের ৭৯ বছর আগে অগ্নুৎপাত ও লাভায় ধ্বংস হয়ে যায় গোটা পম্পেই শহর। বর্তমানে নগরীটির অবস্থান ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় নেপলসের কাছে।

প্রত্নতত্ত্ববিদ ও বিজ্ঞানীরা বলছেন, আগ্নেয় লাভার নিচে পম্পেইয়ের অনেক নিদর্শন এখনও অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তাদের সাম্প্রতিক অনুসন্ধান ও খোঁড়াখুঁড়িতে এই কথার সত্যতা প্রমাণিতও হয়েছে।

পম্পেই নগরীর ধ্বংসাবশেষের সংলগ্ন এলাকাকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। দু’হাজার বছর আগে ধ্বংস হয়ে যাওয়া এই নগরী দেখতে প্রতিবছর দেশি-বিদেশী প্রচুর পর্যটক আসেন নেপলসে।

তবে গত বছর থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ায় সম্প্রতি সেখানে পর্যটকদের আগমন অনেক পড়ে গেছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএমডব্লিউ