ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মন্ত্রী ও তার ‘ঘনিষ্ট’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তাদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক।

শুধু দুর্গাপূজা নয়, কালীপূজা ও ভাইফোঁটা জেলেই কাটাতে হবে পার্থ ও অর্পিতাকে। এক মাসেরও বেশি সময় জেল হেফাজতে কাটাতে হবে পার্থ ও অর্পিতাকে। অর্থাৎ, আদালতের যা নির্দেশ, তাতে গোটা উৎসবের সময়টা জেলেই কাটাতে হবে তাদের।

বুধবার ভার্চুয়াল শুনানিতে পার্থর আইনজীবী আদালতে জামিনের আবেদন জানান। অপর দিকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের জামিনের আবেদন না করা হলেও, তিনি মায়ের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চান। অর্পিতার এই আবেদন অবশ্য মঞ্জুর করেছে আদালত। অর্পিতা যাতে তার মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তার জন্য আলিপুর নারী সংশোধনাগারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সংশোধনাগারে গিয়ে পার্থ ও অর্পিতাকে জেরা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারককে তিনি বলেন, আমাকে যেকোনো শর্তে জামিন দিন। প্রয়োজনে বাড়িতে রেখে দিন। তবে জামিন দিন।

তদন্তে সহযোগিতা করছেন বলেও আদালতে দাবি করেন পার্থ। একই সঙ্গে পার্থ প্রশ্ন তোলেন, অপ্রয়োজনে তাকে আটকে রাখা হচ্ছে। 

পাল্টা ইডির আইনজীবীরা তার জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে আদালতে বলেন, উনি (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) শেষ বার কেঁদেছিলেন। কিন্তু হাজার হাজার জনের চোখের জল বিবেচনা করুন যারা পূজার সময়েও গান্ধী মূর্তির নীচে বসে আছেন।

অপর দিকে অর্পিতা বিচারককে বলেন, মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। ৬৫ দিন ধরে আছি। একটু কথা বলতে চাই। এ কথা বলেই কেঁদে ফেলেন অর্পিতা।

উল্লেখ্য, পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় উদ্ধার হওয়ার পর ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পার্থ ও অর্পিতা। ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে এখনো জামিন মেলেনি। একাধিকবার জামিনের আবেদন করেও কোনো কাজে আসেনি।

ওএফ