যোগাযোগের ক্ষেত্রে মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর নির্ভর করে সাধারণ মানুষ

মোবাইল ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে আফ্রিকার দরিদ্র দেশ হিসেবে পরিচিত সোমালিয়া ও ইথিওপিয়ার চেয়েও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। অনলাইনে ইন্টারনেটের গতি সংক্রান্ত জনপ্রিয় ওয়েবসাইট স্পিডটেস্ট-এর বৈশ্বিক সূচকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।

পাকিস্তানের পেছনে থাকা বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। অথচ দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর দাবি, অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের মানুষকে ৪জি গতির ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে তারা। 

তালিকায় ১৩৬তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১০.৫৭ এমবিপিএস। যা ভারতে ১২.৪১ এবং পাকিস্তানে ১৮ এমবিপিএস।

স্পিডটেস্ট মোট ১৪০টি দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি জরিপ করে এই সূচক তৈরি করেছে। তাদের ওই জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ১৩৬তম। শুধু তলানিতেই নয় সূচকে গত বছরের চাইতে এক ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর ৪৫তম অবস্থান নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। মিয়ানমারের অবস্থান ৮৮তম। এছাড়া নেপাল ১১৪, চার ধাপ পিছিয়ে পাকিস্তান ১১৮, শ্রীলঙ্কা ১২০, ভারত ১৩১ এবং সবচেয়ে নীচে ১৪০তম অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান।

বাংলাদেশ মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে এখনও পিছিয়ে আছে

মোবাইলের ইন্টারনেটের গতির দিক দিয়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১৮৩ এমবিপিএস এর বেশি। তারপরেই রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, কাতার, চীন, সৌদি আরব, নরওয়ে, কুয়েত ও অস্ট্রেলিয়া।

এই প্রতিটি দেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১০০ থেকে ১৭০ এমবিপিএস এর বেশি। তালিকায় ১৩৬তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ১০.৫৭ এমবিপিএস। যেটা কিনা ভারতে ১২.৪১ এমবিপিএস এবং পাকিস্তানে প্রায় ১৮ এমবিপিএস।

অবশ্য ওই একই সূচকে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার গতিতে অন্য অনেক দেশের চাইতেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। সেখানে ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬; যা গত বছরের চাইতে এক ধাপ এগিয়ে এসেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি গড়ে ৩৩.৫৪ এমবিপিএস বলে ওই সূচকে উঠে এসেছে। সে হিসেবে তুরস্ক, গ্রীসের চাইতেও এগিয়ে আছে বাংলাদেশ।

মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়ার চাইতেও বাংলাদেশ এই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে কয়েক ধাপ এগিয়ে আছে। ব্রডব্যান্ডে গতি বেশি থাকার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে এই ইন্টারনেট মানুষ ক্যাবলের মাধ্যমে ব্যবহার করে।

যেখানে কিনা মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্পেকট্রাম বা বেতার তরঙ্গের মাধ্যমে। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের এই ক্যাবল দেশের প্রতিটি পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ার কারণে নেটওয়ার্ক পেতে কোন সমস্যা হয় না।

এএস