দক্ষিণ সুদানের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ জংলেইয়ে জাতিগত সংঘাতে গত চার দিনে নিহত হয়েছেন ৫৬ জন। গত ২৪ ডিসেম্বর প্রদেশের গুমুরুক ও লিকুয়াঙ্গোলে জেলায় নুয়ের জাতিগোষ্ঠীর একটি দল অপর নৃগোষ্ঠী মুরলে সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালায়, সেই হামলাই গত কয়েকদিনে রূপ নিয়েছে জাতিগত সংঘাতে।

জংলেই প্রাদেশিক প্রশাসনের কর্মকর্তা আব্রাহাম কেলাং রয়টার্সকে বলেন, নিহত এই ৫৬ জনের মধ্যে ৫১ জনই নুয়ের নৃগোষ্ঠীর, বাকি ৫ জন মুরলে।

‘সরকারের পক্ষ থেকে এই দুই সম্প্রদায়ের লোকজনদের শান্ত করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে, কিন্তু সেসব তেমন কাজে আসছে না। এখনও তাদের সংঘাত চলছে,’ রয়টার্সকে বলেন আব্রাহাম কেলাং।

পূর্ব আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদান একসময় সুদানের অংশ ছিল। ২০১১ সালে সুদানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সার্বভৌম রাষ্ট্রের পরিচিতি পায় দেশটি।

৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই দেশটিতে দিনকা, আনিউয়াক, বারি, আচোলি, নুয়ের, শিল্লুক, কালিগি, মুরলেসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস।

তবে এসব গোষ্ঠীর মধ্যে সদ্ভাব তেমন নেই। বরং গবাদি পশু ও চাষের জমি দখলকে কেন্দ্র করে প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা সংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স পিস কিপিং মিশনও (ইউএনএমআইএসএস) দেশটির গোষ্ঠীসংঘাত প্রশমণে কাজ করে যাচ্ছে।

গত সপ্তাহে ইউএনএমআইএসএসের কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে দক্ষিণ সুদানের সরকারি কর্মকর্তাদের সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন— নুয়ের নৃগোষ্ঠীর সশস্ত্র তরুণদের একটি দল হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।