শিল্পীর আঁকা ছবিতে উদ্ভিদ-ভোজী এক ডাইনোসর। বিজ্ঞানীরা এই প্রাণীর অবশিষ্টাংশ চিলির আতাকামা মরুভূমিতে আবিষ্কার করেছেন। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির প্যাটাগোনিয়ার এক পরিত্যক্ত উপত্যকায় খোঁজ মিলেছে চার প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্মের। বিজ্ঞানীদের খুঁজে পাওয়া এসব জীবাশ্মের মধ্যে একটি মেগারাপ্টর জীবাশ্মও রয়েছে।

গত কয়েক দশকের মধ্যে এই জীবাশ্মের খোঁজ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গবেষকরা। বার্তাসংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই চার প্রজাতির জীবাশ্ম আর্জেন্টিনা সীমান্তের কাছে চিলির দক্ষিণাঞ্চলীয় লাস চিনাস উপত্যকার সেরো গুইডোতে পাওয়া যায়। এরপর ২০২১ সালে সেগুলো পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে গবেষকরা নিশ্চিত করেছেন, এই জীবাশ্মগুলো ডাইনোসরের চার প্রজাতির।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, যে চার প্রজাতির ডাইনোসরের জীবাশ্ম আবিষ্কার হয়েছে, তা চিলিতে অতীতে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে গবেষণার অংশ ছিল চিলির অ্যান্টার্কটিক ইনস্টিটিউট (ইনাচ)। সংস্থাটির পরিচালক মার্সেলো লেপে জানিয়েছেন, মেগারাপ্টর-সহ চার প্রজাতির ডাইনোসরের দাঁত এবং পোস্টক্র্যানিয়াল হাড়ের টুকরোর জীবাশ্ম ওই উপত্যকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ডাইনোসরগুলো থেরোপড পরিবারের অন্তর্গত বলেও তিনি জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘লাস চিনাস উপত্যকায় এই জীবাশ্মের আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে চিলির এই উপত্যকায় আগেও অনেক জীবাশ্মের খোঁজ পাওয়া গেছে।’

বার্তাসংস্থা এএফপিকে মার্সেলো লেপে আরও বলেন, ‘লাস চিনাস উপত্যকায় আগে আবিষ্কৃত হয়নি এমন কিছু খুঁজে পাওয়া সবসময়ই অত্যন্ত আনন্দের। এই জায়গাতে বরাবরই আমরা নতুন জীবাশ্ম খুঁজে পেতে অভ্যস্ত হয়েছি।’

ইনাচ এই গবেষণা কর্মকাণ্ডে চিলি বিশ্ববিদ্যালয় এবং টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সহযোগিতা করে।

প্রসঙ্গত, মেগারাপ্টর প্রজাতির ডাইনোসররা মাংসাশী ছিল। মাংস ছেঁড়ার জন্য তাদের ধারালো নখ ছিল। প্রায় ৬৬০ থেকে ৭৫০ লাখ বছর আগে অর্থাৎ ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষের দিকে এই ডাইসোররদের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করা হয়।

টিএম