তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে থাকা এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা বিভিন্নভাবে খরচ কমানোর চেষ্টা করছে। কয়েকদিন আগে দেশটিতে সব ধরনের সরকারি চাকরির নিয়োগ স্থগিত করে দেওয়া হয়। এবার জানা গেল, সেনাবাহিনীর পরিধিও কমাবে তারা।

শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রেমিথা বান্দারা থেনাকুন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) জানিয়েছেন, আগামী বছরের মধ্যে সেনার সংখ্যা তিন ভাগের এক ভাগ কমিয়ে ১ লাখ ৩৫ হাজারে নিয়ে আসা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সংখ্যা আরও কমতে থাকবে। এতে করে ২০৩০ সালের মধ্যে সেনার সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লাখে।

লঙ্কান প্রতিরক্ষামন্ত্রী টুইটে বলেছেন, ‘সামরিক ব্যয় মূলত একটি রাষ্ট্র-সৃষ্ট ব্যয় যেটি পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একাধিক পথ খুলে দেয় জাতীয় এবং মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার মাধ্যমে।’

এদিকে স্বাধীনতা অর্জনের পর গত ৭০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। মূলত ডলার সংকট থাকায় বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করতে পারছে না দেশটির সরকার। যার প্রভাবে দীর্ঘদিন অতি প্রয়োজনীয় জ্বালানিও পাওয়া যায়নি।

অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের কারণে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে নামেন। এর জেরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। বর্তমানে রনিল বিক্রমাসিংহের অধীনে চলছে শ্রীলঙ্কা। তিনি সবার আগে সরকারি ব্যয় কমানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।

সূত্র:  এনডিটিভি

এমটিআই