ভারতের কাছে প্রজাতন্ত্র দিবস এক উল্লেখযোগ্য দিন। কিন্তু কেন ২৬ জানুয়ারিই পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস? এদিন ভারতের নাগরিকরা তাদের নিজস্ব সরকার নিজেরাই বেছে নিতে পেরেছেন। আর এভাবেই গণতন্ত্রের পথকে আরও প্রশস্ত করেছেন। 

১৯৫০ সাল থেকে ভারতে প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয়। আধুনিক ভারতের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিন। এদিনেই কার্যকর হয়েছিল ভারতীয় সংবিধান। এদিন দেশ এক রিপাবলিকান ইউনিট হয়ে ওঠে। এই বিশেষ দিনে প্রথম রাষ্ট্রপতি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ গভর্নমেন্ট হাউসের দরবার হলে শপথ নেন। 

প্রতি বছরই দিনটিতে একটি কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। আর এই ঐতিহ্যবাহী কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিত থাকেন একজন করে রাষ্ট্রনেতা। এবার আমন্ত্রিত মিশরের প্রেসিডেন্ট ফাত্তাহ এল-সিসি। তিনি এবারের প্রধান অতিথি। তিনি জানিয়েছেন, গেস্ট অফ অনারের সম্মান পেয়ে তিনি আপ্লুত। 

প্রজাতন্ত্র দিবসের তাৎপর্য বিপুল! প্রতি বছর দিল্লির রাজঘাট থেকে বিজয়পথ বরাবর কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত থাকে আর্মি, নেভি, এয়ার ফোর্সের বিভিন্ন রেজিমেন্ট।   

অশ্বারোহী দলও অনুষ্ঠানের জন্য সুন্দরভাবে উপস্থাপিত হয়। বিভিন্ন রাজ্যের জন্য নির্দিষ্ট গান বাজানো হয়। সব মিলিয়ে একটা সুন্দর ছবি তৈরি হয় এদিন।

ভারত ১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক ও সার্বভৌম এক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে ওঠে ভারত।   

পরবর্তীকালে ২৬ জানুয়ারি দিনটি জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে দিনটি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়।

১৫ অগাস্টকে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয় কারণ, এই দিনে ভারত ব্রিটিশশাসন থেকে মুক্তি পেয়েছিল। আর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করা হয় কারণ, সংবিধানের সহযোগিতায় একটি গণতান্ত্রিক, প্রজাতান্ত্রিক ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ভারত।

ওএফ