আর্জেন্টিনার বাজারে আসছে নতুন নোট, থাকছে যার ছবি
আর্জেন্টিনার ১০০ পেসোর নোট
লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার বাজারে ছাড়া হবে ২ হাজার পেসোর নতুন ব্যাংক নোট। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বিসিআরএ) জানিয়েছে, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় নতুন নোট তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে তাদের।
এ নোটটির মূল্যমান– যুক্তরাষ্ট্রের ১১ ডলারের সমান। গত ১২ মাসে ভোক্তা পণ্যের মূল্য ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে নতুন নোট ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯১ সালের পর গত ১২ মাসে দেশটিতে মুদ্রাস্ফীতি সবচেয়ে দ্রুত গতিতে বেড়েছে।
বিজ্ঞাপন
আর্জেন্টিনার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে জানিয়েছে নতুন নোটে কার ছবি থাকবে। এ ব্যাপারে এক টুইট বার্তায় ব্যাংকটি বলেছে, ‘নতুন নোটে আর্জেন্টিনার বিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিদ্যার অগ্রগতির বিষয়টি তুলে ধরা হবে। নোটটিতে থাকবে আর্জেন্টিনার দুই অগ্রগামী চিকিৎসক ক্যাসিলা গ্রিসন এবং রামোন কারিলোর ছবি।’
তবে বাজারে নতুন নোটটি কখন ছাড়া হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার কোনো ধারণা দেয়নি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞাপন
আর্জেন্টিনায় বর্তমানে সবচেয়ে বড় হলো ১ হাজার পেসোর নোট। মুদ্রা বিনিময় বাজারে বর্তমানে যেটির মূল্য মাত্র ২ দশমিক ৭০ ডলার।
১৯৯২ সালে যখন আর্জেন্টিনার নতুন মুদ্রা চালু করা হয় তখন এটির মূল্য যুক্তরাষ্ট্রের ১ ডলারে স্থিতিশীল রাখা হয়েছিল। কিন্তু ২০০১ এবং ২০০২ সালে দেশটিতে বড় অর্থনৈতিক বিপর্যয় দেখা দিলে ‘ফিক্সড মানি এক্সচেঞ্জ’ ব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে আর্জেন্টাইন পেসোর মূল্য শুধু কমেছে। বর্তমানে এর মূল্য এতটাই কম যে দেশটির একজন চিত্র শিল্পী ক্যানভাস কেনার বদলে ব্যাংক নোটের ওপর চিত্রকর্ম আঁকেন। কারণ ব্যাংক নোটের তুলনায় ক্যানভাসের দাম বেশি।
আর্জেন্টিনার বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। গত বছর মাত্র চার সপ্তাহের ব্যবধানে তিনজন অর্থমন্ত্রী বদল করতে হয় দেশটিকে। এছাড়া গত বছরের সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি করে।
এদিকে অর্থনৈতিক সমস্যা থেকে উত্তরণে এ সপ্তাহের শুরুতে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল একই মুদ্রা চালুর পরিকল্পনার কথা জানায়। মূলত দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দেশই বলেছে তাদের এমন উপায় খুঁজে বের করতে হবে যেটির মাধ্যমে মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরতা কমবে।
সূত্র: বিবিসি
এমটিআই