টিকা কিনতে ব্যর্থ পাকিস্তান পেল চীনের ৫ লাখ ডোজ অনুদান
এখন পর্যন্ত ভ্যাকসিন কিনতে না পারা পাকিস্তানকে দ্বিতীয় দফায় করোনাভাইরাসের টিকার পাঁচ লাখ ডোজ অনুদান দিয়েছে চীন। এ নিয়ে মোট ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন অনুদান দিলো পাকিস্তানের অন্যতম মিত্র এই দেশ। বুধবার পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ফয়সাল সুলতান দ্বিতীয় দফায় চীনের কাছ থেকে ভ্যাকসিন অনুদান পাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ২২ কোটি মানুষের এই দেশটিতে গত ১০ মার্চ থেকে বয়োজ্যেষ্ঠদের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে, গত মাসের শুরুর দিকে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মীরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু করেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার এক টুইট বার্তায় পাক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুলতান বলেন, ভ্যাকসিনের এই পাঁচ লাখ ডোজ আমাদের টিকাদান কর্মসূচির ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে। বর্তমানে দেশে জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বর্তমানে পাকিস্তানে শুধুমাত্র সিনোফার্মের ভ্যাকসিনই পাওয়া যাচ্ছে। চীনের এই কোম্পানির তৈরি ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিতে হয়।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানে টিকাদান কর্মসূচি অত্যন্ত ধীরগতিতে চলমান রয়েছে। করোনা ভ্যাকসিন সাধারণ জনগণ নাকি স্বাস্থ্য কর্মীদের আগে দেওয়া হবে; তা নিয়ে ব্যাপক দ্বিধায় পড়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি দেশটিতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ পাঞ্জাবে আক্রান্তের এই হার ১১ শতাংশ।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পাকিস্তানে ৬ লাখ ১৫ হাজার ৮১০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন ১৩ হাজার ৭১৭ জন।
এর মধ্যে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৯৫ জন এবং প্রাণ গেছে ৬১ জনের। গত তিন মাসের মধ্যে সর্বাধিক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। পাকিস্তানের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে করোনা বিধি-নিষেধ কড়াকড়ির পাশাপাশি জনসমাগম এড়িয়ে চলার নির্দেশনা জারি করেছে।
দেশের জনগণকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে পাকিস্তান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও দেশটি এখন পর্যন্ত কোনও ওষুধপ্রস্তুতকারকের কাছ থেকে ভ্যাকসিন কেনার চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি। বিশ্বের দারিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নেওয়া উদ্যোগ গ্যাভি-কোভ্যাক্সের ওপর নির্ভর করছে পাকিস্তান।
এই উদ্যোগের প্রথম দফার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের ২৮ লাখ ডোজের চালান চলতি মাসেই পাকিস্তানে পৌঁছাতে পারে বলে প্রত্যাশা করছেন দেশটির কর্মকর্তারা। সিনোফার্ম এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ছাড়া পাকিস্তান রাশিয়ার স্পুটনিক এবং চীনের ক্যানসিনো বায়োলজিকসের তৈরি দু’টি করোনা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে।
এসএস