ইয়েমেনে সৌদি জোটের বিমান হামলা
ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট দেশটির রাজধানী সানায় ইরান সমর্থিত এই গোষ্ঠীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। রোববার ভোরের দিকে এই হামলা হয়েছে বলে সানার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
শুক্রবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের একটি তেল শোধনাগারে হুথি বিদ্রোহীদের ড্রোন হামলার দাবির পর ইয়েমেনে এই হামলা হলো। রিয়াদে হুথিদের ওই হামলায় তেল শোধনাগারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
সৌদি জোটের এক বিবৃতিতে বলা হয়, সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খামিস মুশাইতের দিকে ধেয়ে আসা বিস্ফোরক বোঝাই একটি ড্রোন আটকের পর সেটি ধ্বংস করা হয়েছে। সানার বাসিন্দারা রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার রাজধানী সানার দক্ষিণে হুথির সামরিক শিবিরের আবাসিক এলাকা এবং শহরের উত্তরাঞ্চলে তাদের একটি উৎপাদন স্থাপনায় জোটের যুদ্ধবিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
হুথি-পরিচালিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সানা বিমানবন্দর-সহ এর আশপাশের এলাকায় সৌদি জোটের বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক সৌদি আরবে সম্প্রতি হামলা বৃদ্ধি করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরব বলছে, বিমানবন্দর, সামরিক ঘাঁটি এবং জ্বালানি স্থাপনা লক্ষ্য করে হুথিদের ছোড়া বেশিরভাগ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র আটকের পর ধ্বংস করছে তারা। যদিও কিছু ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রায়ই লক্ষ্যে আঘাত হানছে।
২০১৫ সালের শুরুর দিকে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে সৌদি-সমর্থিত ইয়েমেনের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি ক্ষমতা ছেড়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যান। ক্ষমতাচ্যুত এই প্রেসিডেন্টকে ফেরাতে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে হুথিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে।
ইয়েমেনে এই সংঘাতকে মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্যের লড়াইয়ে সৌদি-ইরানের ছায়াযুদ্ধ হিসেবে দেখা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের এই যুদ্ধে ইয়েমেনে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে এবং বাস্ত্যুচুত হয়েছেন লাখো মানুষ। চলমান এই সংঘাতে ইয়েমেন চরম দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
সূত্র: রয়টার্স।
এসএস