জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে চীন আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ রয়েছে

চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাজ্য, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সমন্বিত প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করা হয়।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশের বন্দীশিবিরগুলোয় লাখ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটকে রেখেছে শি জিনপিং প্রশাসন। সেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন, জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানোসহ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ বিভিন্ন সময় প্রকাশ পেয়েছে।

চীন এগুলোকে ‘সন্ত্রাস দমনের লক্ষ্যে পরিচালিত পুন:শিক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে দাবি করে থাকে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা চীনের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন - তাতে চারজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা ও তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জিনজিয়াং প্রদেশের পুলিশ প্রধান চেন মিঙ্গোউ-ও রয়েছেন।

এর পরপরই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দশ ব্যক্তি ও চারটি সংস্থার ওপর পাল্টা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম জনগোষ্ঠীর মানুষের সঙ্গে চীনের আচরণ ‘মৌলিক মানবাধিকারের সবচেয়ে আতঙ্কজনক লঙ্ঘন’।

টিএম