দুই ডোজের ব্যবধান ৬-৮ সপ্তাহ করল ভারত
বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি টিকা কোভিশিল্ড এখন বিশ্বজুড়ে ব্যবহার হচ্ছে। শুরু থেকেই এই টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার মধ্যে ব্যবধান ২৮ দিন থাকলেও ভারত ঘোষণা দিয়েছে, ২৮ দিন নয় ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজে মিলবে সর্বোচ্চ সুরক্ষা।
ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। দেশটিতে এখন দুটি করোনা টিকা দেওয়া হচ্ছে। একটি অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত ও সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার তৈরি কোভিশিল্ড। আর কোভ্যাক্সিন নামে অপর টিকাটি উদ্ভাবন ও তৈরি করছে ভারত বায়োটেক। এটি দেশটির একটি জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি।
বিজ্ঞাপন
এতদিন দুটি ডোজের মধ্যে ব্যবধান ৪ সপ্তাহ অর্থাৎ ২৮ দিনের থাকলে ভাল ফল পেতে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে তফাৎ ছয় থেকে আট সপ্তাহ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলোকে এই মর্মে চিঠি লিখে বলা হয়েছে, ‘দুটি ডোজের মধ্যে আট সপ্তাহ অর্থাৎ ৫৬ দিন ব্যবধান রাখলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে’।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা শুধু সেরামের তৈরি কোভিশিল্ড টিকার ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে। ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার ক্ষেত্রে এমন কোনো নির্দেশনা অবশ্য দেওয়া হয়নি।
বিজ্ঞাপন
কেন্দ্র সরকার রাজ্য গুলোকে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছে, ‘পরীক্ষা করে পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যেতে পারে কোভিশিল্ড টিকার দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান আট সপ্তাহ হলে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে’।
চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, ‘ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই) এবং ন্যাশনাল এক্সপার্ট গ্রুপের সম্মতি পাওয়ার পরেই এই নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে’।
কেন্দ্রের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, দুটি ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান যেন আট সপ্তাহের বেশি না রাখা হয়। অর্থাৎ প্রথম ডোজের ৫৬ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নিলে সবচেয়ে ভালো সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
জানুয়ারিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর ভারতে এখন পর্যন্ত ৪ কোটি ৫০ লাখ ৬৫ হাজার ৯৯৮ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মী ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের পরে এখন ৬০ বছরের বেশি বয়সী এবং ৪৫ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মধ্যে যাদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে তাদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
এএস