মদ খাইয়ে বাবাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা
মদ্যপান করিয়ে নিজের বাবাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক মেয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায়। মারাত্মক এই ঘটনা প্রকাশ পেতেই শহরজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, সোমবার (২২ মার্চ) সকালে কলকাতার উত্তর বন্দর থানার চাঁদপাল জেটি ঘাট এলাকায় পার্কের কাছে আগুনে পোড়া মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। কিন্তু তখনও বোঝা যায়নি এর পেছনে কতোটা ভয়ানক ঘটনা রয়েছে। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ধরেই মৃত ব্যক্তির পরিচয় খুঁজে পায় পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
মৃত ওই ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ আঢ্য। নিজের মেয়ে পিয়ালী আঢ্যর সঙ্গে গিয়েছিলেন কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে। ২২ বছরের পিয়ালীকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে ভয়ঙ্কর ঘটনা।
জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পিয়ালী নিজের অপরাধ স্বীকার করে জানিয়েছে, রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার নাম করে বাবাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয় সে। একসঙ্গে রাতের খাবার খাওয়ার পর একটু হাঁটাহাঁটির কথা বলে পার্শ্ববর্তী চাঁদপাল ঘাটের পার্কে নিয়ে যায় বাবাকে।
বিজ্ঞাপন
পিয়ালীর দাবি, পার্কের বেঞ্চে বসে মেয়ের কিনে দেওয়া মদ খেতে খেতে একসময় ঘুমিয়ে যায় বাবা। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে গভীর রাতের অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে বাবার গায়ে কেরোসিন ঢেলে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় সে। গভীর রাত আর জনমানবশূন্য এলাকা হওয়ায় পিয়ালীর ধারণা ছিল- এই ঘটনা কেউ জানতে পারবে না। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে তাকে শনাক্ত করে পুলিশ।
এদিকে নিজের বাবাকে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে পিয়ালীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত হয়ে যান তদন্তকারীরাও। কিন্তু কেন নিজের বাবাকে এভাবে খুন করল মেয়ে! উত্তরে অভিযুক্ত মেয়ের দাবি, তার বাবার মদের নেশা ছিল। মা মারা যাওয়ার পর থেকে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।
পিয়ালীর ভাষায়, তার ওপর অত্যাচার দিন দিন বাড়ছিল। তাই সহ্য করতে না পেরে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
অবশ্য অভিযুক্তের বক্তব্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পেছনে সম্পত্তি সংক্রান্ত কোনো ব্যাপার জড়িয়ে রয়েছে কি না, সেটাও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই সময়
টিএম