প্রথম দফায় স্বাস্থ্যকর্মী, ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ঝুঁকিতে থাকা মানুষজনকে দিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছিল ভারত। এবার আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকেই করোনার টিকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার।

বেশ কিছু রাজ্যে নতুন করে মহামারি করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য প্রকাশ জাভড়েকর।

ভারতে গত ১ মার্চ থেকে দ্বিতীয় দফায় ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে যারা অন্যান্য রোগে ভুগছিলেন শুধু তাদের টিকা দেওয়া শুরু হয়। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার জন্য তাদেরকে দেখাতে হয়েছিল চিকিৎসকের সার্টিফিকেট। তবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে এই বয়সীদের আর এটার প্রয়োজন পড়বে না।

ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি টিকা দেওয়া শুরুর পর প্রথম দফায় টিকা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং পৌর ও পুলিশ-প্রশাসনের কর্মী অর্থাৎ সামনের সারির করোনা যোদ্ধাদের। দ্বিতীয় দফায় ১ মার্চ থেকে টিকা নিয়েছেন ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ নাগরিক ও ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে বেড়েই চলেছে। তাই টিকাদান কর্মসূচির গতি বাড়ানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় ‘কো-মর্বিডিটি’র সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক ছিল। মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছর বয়স হলে যে কেউ টিকা নিতে পারবেন।’

এএস