এক নজরে বিল গেটস

• ১৯৭৫ সালে মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠা করেন
• ফোর্বসের তথ্য বলছে, বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী বিল গেটস
• তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ১৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার
• ১৯৯৪ সালে দাতব্য সংস্থা বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা
• ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৫০ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন তিনি

বৃহৎ এক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের মালিক, বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। জনকল্যাণকর কাজের মাধ্যমে বিশ্ব ও সমাজে ব্যাপক প্রভাব ফেলছেন তিনি। জলবায়ু সঙ্কট মোকাবিলায় সম্প্রতি কাজ শুরু করেছেন তিনি।

অনলাইন কথোপকথন ফোরাম রেড্ডিটে আস্ক-মি-অ্যানিথিং (এএমএ) নামের একটি সেশন করছেন তিনি। বিশ্বে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনতে তিনি যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন সেসব বিষয়ে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রশ্ন নিয়ে জবাব দেন এই সেশনে। আস্ক-মি-অ্যানিথিংয়ে তিনি পানি সঙ্কট থেকে শুরু করে পারমাণবিক জ্বালানিসহ নানা বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ প্রশ্ন পান বলে জানিয়েছেন।

এএমএ সেশনে এক ব্যবহারকারী বিশ্বের অন্যতম এই ধনকুবেরের কাছে ‘একজন সাধারণ নাগরিক কার্বন নিঃসরণ কমাতে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারেন বা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী কাজ করতে পারেন’ প্রশ্ন ছুড়ে দেন। জবাবে বিল গেটস কম খাওয়ার পরামর্শ দেন। সবুজ খাবারের পাশাপাশি কৃত্রিম মাংসও বেছে নিতে বলেন তিনি।

‘বিল গেটস নিজে কী করেন’ প্রশ্নের জবাবে মাইক্রোসফটের এই প্রতিষ্ঠাতা বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা জানান। ব্যক্তিগত দিক থেকে আমি অনেক কিছুই করছি। আমি বিদ্যুৎচালিত গাড়ি ব্যবহার করছি। আমার বাড়িতে সৌরবিদ্যুতের প্যানেল রয়েছে। আমি কৃত্রিম মাংস খাই (কিছু কিছু সময়)। আমি সবুজ জ্বালানি ক্রয় করি।

গত মাসের মাঝের দিকে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ এই ধনকুবের বলেছিলেন, জলবায়ু সঙ্কটের সমাধান করতে পারলে সেটি হবে মানবসভ্যতার সবচেয়ে বিস্ময়কর কাজ। প্রত্যেক বছর বিশ্বে ৫১ বিলিয়ন টন গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে যুক্ত হয়। বায়ুচালিত এবং সৌরবিদ্যুতের নবায়নযোগ্য উত্সগুলো বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ অন্তত ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে।

বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা দরকার বলে মন্তব্য করেন বিল গেটস। আর এটি করতে তথ্যপ্রযুক্তি কীভাবে সহায়তা করতে পারে নিজের লেখা ‌‘হাউ টু অ্যাভয়েড এ ক্লাইমেট ডিজাস্টার’ নামের নতুন এক বইয়ে সেদিকেই গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

গ্যাস, কয়লা, গাড়ির জ্বালানি থেকে পরিবেশে যে দূষণের সৃষ্টি এবং ক্ষয়ক্ষতি হয় সেজন্য অধিকাংশ ব্যবহারকারীই কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেন না। বিল গেটস বলেন, এই মুহূর্তে কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণের মাধ্যমে আপনি যে ব্যথার সৃষ্টি করছেন তা দেখতে পাচ্ছেন না। এ কারণে বিশ্বের প্রত্যেক দেশের সরকারকে এই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা যে সবুজ পণ্য চাই, সেটি বেসরকারি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানানো দরকার। আর এটি করার জন্য গবেষণা এবং উন্নয়নখাতে সরকারগুলোর বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।

সূত্র: এনডিটিভি, দ্য গার্ডিয়ান।

এসএস