দুর্ঘটনার কবলে পড়ে পরিত্যক্ত হওয়া একটি বিমানকে রেস্তোরাঁয় পরিণত করছে তুরস্ক। তিন বছরেরও বেশি সময় আগে দেশটির কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী শহর ট্রাবজন বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল বিমানটি। লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকায় ভুলতে বসা এই বিমানটি খুব শিগগিরই পরিণত হবে আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্টে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ১৩ জানুয়ারি রাজধানী আঙ্কারা থেকে কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী শহর ট্রাবজনে যাচ্ছিল পেগাসাস এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ মডেলের এই বিমানটি। তবে অবতরণের সময় পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে সেটি রানওয়ে থেকে ছিটকে সাগর থেকে মাত্র ২৫ মিটার দূরে তীরের কাদায় আটকে যায়। বিমানটিতে ১৬২ জন যাত্রী ও ছয়জন ক্রু ছিলেন। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর কোনো ঘটনা না ঘটলেও তাদের সকলেই আহত হয়েছিলেন।

এরপর অতিবাহিত হয়েছে তিন বছরেরও বেশি সময়। এখন সেটিকে একটি রেস্টুরেন্টে পরিণত করা হবে এবং ভোজনপ্রিয় মানুষ সেখানে লম্বাকৃতির ঐতিহ্যবাহী তুর্কি রুটিসহ মজাদার সব খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। পাইড বলে পরিচিত ওই লম্বাকৃতির রুটিটি কৃষ্ণসাগর অঞ্চলের মানুষের প্রিয় খাবার।

দুর্ঘটনার পর বিমানটি ট্রাবজনের ইয়োমরা জেলার পৌর এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়। তুর্কি গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিমানটি ফেলে না রেখে সেটাকে আকর্ষণীয় রেস্টুরেন্টে রূপ দিতে তুরস্কের তিন বিনিয়োগকারী তুর্কি মুদ্রায় ৪০ লাখ লিরা (পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করবেন।

ইয়োমরা শহরের নতুন মেয়র মুস্তাফা বায়িক বলছেন, বিমানটি তারা তিনজন বিনিয়োগকারীর কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রেস্টুরেন্টে পরিণত হওয়ার পর বিমানটি কৃষ্ণসাগরের তীরে স্থাপন করা হবে।

বার্তাসংস্থা ইলহাস’কে (আইএইচএ) তিনি জানান, তিন মাসের মধ্যে নতুন জায়গায় পৌঁছাবে বিমানটি।

সূত্র: ডেইলি সাবাহ, মিডল ইস্ট মনিটর

টিএম