অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা নেওয়ার পর গ্রহীতাদের শরীরে রক্ত জমাটের অভিযোগ উঠছে বেশ অনেক দিন ধরেই। ইতোমধ্যেই ইউরোপের অনেক দেশ সংস্থাটির টিকা প্রযোগ বন্ধ রেখেছে। আর এবার সতর্কতার অংশ হিসেবে শিশুদের ওপর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর অ্যান্ডু পোলার্ড ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’কে জানিয়েছেন, শিশুদের ওপর টিকার পরীক্ষায় নিরাপত্তা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। তারপরও তাদের বিজ্ঞানীরা রক্ত জমাট বাঁধার অভিযোগের বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন।

পরীক্ষামূলক এই টিকা নিতে প্রায় ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবী নিবন্ধন করেছিলেন। এর আগে সুযোগ হলে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

যুক্তরাজ্যে এখন পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা এবং ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ করা হচ্ছে। এছাড়া সম্প্রতি মডার্নার টিকাও অনুমোদন দিয়েছে দেশটি।

ব্রেক্সিটের মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়া এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত তিন কোটি ১৬ লাখ মানুষকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫৪ লাখ মানুষ টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন।

শিশুদের ওপর অক্সফের্ড-অ্যাস্ট্রাজেনকার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় গত ফেব্রুযারিতে। এই টিকা ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারছে কি না; পরীক্ষায় মূলত সেটাই মূল্যায়ন করে দেখা হচ্ছিল।

তবে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেওয়ার সঙ্গে গ্রহীতার রক্ত জমাট বাঁধার সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সি’র (ইএমএ) এক কর্মকর্তা মন্তব্য করার পর এই পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এর আগে অবশ্য টিকা নেওয়ার সঙ্গে রক্ত জমাটের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছিল ইএমএ।

এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি জানিয়েছে, ‘যদিও শিশুদের ওপর টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই, তবুও আমরা ব্রিটেনের ওষুধ নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি। ট্রায়ালের মাধ্যমে টিকা দেওয়ার আগে রক্ত জমাটের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত করা হবে।’

সূত্র: বিবিসি

টিএম