স্বামী প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ভীষণ শোকাহত অবস্থায় রয়েছেন। রোববার বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এমন তথ্যই জানিয়েছেন রাজকীয় ওই দম্পতির তৃতীয় সন্তান। এদিকে ব্রিটেনজুড়ে ফিলিপের স্মৃতির উদ্দেশে প্রার্থনা চলছে।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রানির তৃতীয় সন্তান ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রিউ বলেছেন, গত শুক্রবার তার ৯৯ বছর বয়সী বাবা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুতে শোকে মুষড়ে পড়া তার ৯৪ বছর বয়সী মা দ্বিতীয় এলিজাবেথ ‘ভীষণ নির্বিকার’ হয়ে রয়েছেন।    

গত বছর রাজকীয় এই দম্পতি তাদের ৭৩তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে কোনো রানি কিংবা রাজার সবচেয়ে দীর্ঘদিনের জীবনসঙ্গী ছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ১৯৪৭ সালে বিয়ে হয়েছিল তাদের। 

ওয়েস্ট লন্ডনের উইন্ডসর ক্যাসেলের এক চার্চে প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর প্রিন্স অ্যান্ড্রিউ সম্প্রচারমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি (রানি এলিজাবেথ) এটাকে (স্বামী ফিলিপের মৃত্যু) তার জীবনের জন্য একটি ‘‘বিশাল শূন্যতা’’ ‍হিসেবে বর্ণনা করেছেন।’

প্রিন্স অ্যান্ড্রিউ এ সময় তার সদ্যপ্রয়াত বাবাকে ‘দ্য গ্রান্ডফাদার অব দ্য নেশন’ অভিহিত করে বলেন, পরিবারের ঘনিষ্ঠজনের ‘রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে এই শোকের সময়ে সান্তনা দেওয়ার জন্য’ সব সময় তার আশেপাশে থাকার চেষ্টা করছেন।

অ্যান্ড্রিউ’র ছোট ভাই ও রানির কনিষ্ঠ সন্তান এডওয়ার্ড তার বাবা প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুকে ‘ভয়ঙ্কর ধাক্কা’ হিসেবে অভিহিত করেন। 

রানির বড় ছেলে ও তার উত্তরাধিকারী ৭২ বছর বয়সী প্রিন্স চার্লস গত শনিবার প্রয়াত বাবার স্মৃতির প্রতি শোক জানিয়ে বলেন, তার মৃত্যু অপূরণীয় এক ক্ষতি এবং ব্রিটিশ রাজপরিবার তার অনুপস্থিতি ভীষণভাবে অনুভব করবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে প্রিন্স ফিলিপের জীবনাবসান ঘটে। মৃত্যুর কিছুদিন আগে তিনি হাসপাতালে এক মাস কাটিয়ে বাসায় ফিরেছিলেন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে গোটা বিশ্ব। আগামী ১৭ এপ্রিল তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। 

এএস