যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কাবুল সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের চলমান সশস্ত্র লড়াইয়ে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আফগানিস্তান ১ হাজার ৮০০ সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছে। বুধবার প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই হিসাব দিয়েছে জাতিসংঘ।  

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সংঘাত হ্রাসের আহ্বান ও বিবদমান পক্ষের মধ্যে আফগান স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানান গোষ্ঠীর মধ্যস্থতায় কথিত শান্তি আলোচনা চলা সত্ত্বেও চলতি বছরে আফিগানিস্তানের বেশ কিছু এলাকায় সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী ও তালেবানের সংঘর্ষ বেড়েছে।    

আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের (৯/১১) আগেই আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শিগগিরই এমন ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন বলে হোয়াইট হাউস থেকে জানানোর পরদিন এই হিসাব প্রকাশ করলো জাতিসংঘ।

ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তানের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দুই পক্ষের এই সশস্ত্র লড়াইয়ে ৫৭৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১২১০ জন আহত হয়েছেন; যা গত বছরের চেয়ে ২৯ শতাংশ বেশি।  

কথিত শান্তি আলোচনা সত্ত্বেও ক্ষমতার দখল নিয়ে দুই পক্ষের লড়াই আরও বেড়েছে।

জাতিসংঘের আফগান বিষয়ক বিশেষ দূত দেবোরাহ লিওনস বলেছেন, ‘শান্তির জন্য সম্ভাব্য সুযোগ লুফে নিতে হবে। যদি সহিংসতার এই মাত্রা না কমে তাহলে চলতি বছরে আরও হাজার আফগান প্রাণ হারাবেন নয়তো পঙ্গু কিংবা মারাত্মকবাবে আহত হবেন।   

ইউনাইটেড ন্যাশনস অ্যাসিসটেন্স মিশন ইন আফগানিস্তান (ইউএনএএমএ) জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম তিন মাসে যতজন সাধারণ মানুষ হতাহত হয়েছেন তার ৪৩ দশমিক ৫ শতাংশের জন্য তালেবান জঙ্গিরা এবং ২৫ শতাংশের জন্য সরকারি বাহিনী দায়ী।  
যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কাবুল সরকারের বাহিনী ও তালেবানের মধ্যে লড়াই চলছে 

আফগানিস্তানের স্বাধীন মানবাধিকার কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনার প্রকোপ ও উভয় পক্ষের মধ্যে শান্তির জন্য আলোচনা চলা সত্ত্বেও ২০২০ সালে আফগানিস্তানে ২৯৫৮ জন নিহতসহ মোট সাড়ে আট হাজার মানুষ হতাহত হয়েছে।

এএস