ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মোটমুটি শান্তিপূর্ণভাবে শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাজ্যের ৬টি জেলার ৪৫টি আসনে এই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ৭৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ৭টায় পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ ভাবেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে উত্তেজনার পারদ। বেশ কিছু জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গেছে। সেই পরিস্থিতিতেই ভোটগ্রহণ হয়েছে বুথে বুথে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ৭৮ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এ নিয়ে অবশ্য চূড়ান্ত পরিসংখ্যান এখনও প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন।

এই দফায় কালিম্পংয়ের ১টি, দার্জিলিংয়ের ৫টি এবং জলপাইগুড়ির ৭ বিধানসভা আসনের সবগুলো, উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩টির মধ্যে ১৬টিতে, নদিয়ায় ১৭টির মধ্যে ৮টিতে এবং পূর্ব বর্ধমানের ১৬টির মধ্যে ৮টি আসনসহ মোট ৪৫টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এর মধ্যে সল্টলেকের শান্তিনগরে বুথের বাইরে পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। তবে পাহাড়ের পরিস্থিতি ছিল একেবারেই শান্তিপূর্ণ।

কমিশনের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত দার্জিলিংয়ে ভোট পড়েছে ৭৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পংয়ে যথাক্রমে ৮১ দশমিক ৭১ এবং ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।

নদিয়ায় সকাল থেকে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৮১ দশমিক ৫০ শতাংশ। উত্তর ২৪ পরগনায় ৭৫ দশমিক ১৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। পূর্ব বর্ধমানে ভোট পড়েছে ৮১ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, পঞ্চম দফায় ভোট হওয়া আসনগুলোতে পায়ের তলায় মাটিই ছিল না বিজেপির। তৃণমূল শক্তি প্রমাণ করতে পেরেছিল বেশ ভালোভাবেই।

পাঁচ বছর আগের সেই বিধানসভা নির্বাচনে এই ৪৫টি আসনের ৩২টিতে জিতেছিল তৃণমূল। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের জয় হয় ৫ আসনে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জয় হয় পাহাড়ের ৩ আসনে। 

তবে লোকসভা নির্বাচনে দেখা যায় বিপরীত চিত্র। এই ৪৫টি বিধানসভা কেন্দ্রের ২২টিতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে ছিল বিজেপি। সেসময় বিজেপির উত্থান হয় মূলত উত্তরবঙ্গে। জলপাইগুড়ি জেলায় মোট ৭ আসনের ছয়টিতেই জয় পায় বিজেপি। তৃণমূল ধরে রাখতে পেরেছিল একটি।

এবার কি এই সমীকরণ বদলাবে? উত্তর পাওয়া যাবে আগামী ২ মে।

টিএম