মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ভারতে গণহারে দুটি টিকাদান কর্মসূচির ফলই ‘অত্যন্ত সন্তোষজনক’ বলে দাবি করল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য-পরিসংখ্যান পেশ করে এমন আশার কথাই জানানো হয়েছে। খবর ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভি অনলাইনের।

তাতে বলা হয়েছে, করোনার টিকা নেওয়ার পরেও সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন সামান্য সংখ্যক মানুষ। সামগ্রিক পরিসংখ্যান করে দেখা যাচ্ছে, সেই হার ‘খুবই কম’। গড়ে যা প্রতি ১০ হাজারের মধ্যে মাত্র ৪ জন। দুটি টিকাই যারা নিয়েছেন তাদের সংক্রমণের হার কম।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত ও সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড টিকার একটি ডোজ যারা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্র দশমিক ০২ শতাংশ মানুষ ফের আক্রান্ত হয়েছেন। যারা দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এই  আরও কম, দশমিক ০৩ শতাংশ।

কোভিশিল্ড টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১০ কোটি ৩ লাখ ২ হাজার ৭৫৪ জনের মধ্যে ১৭ হাজার ১৪৫ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া ১ কোটি ৫৭ লাখ ৩২ হাজার ৭৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণের শিকার ৫ হাজার ১৪ জন।

ভারতে স্থানীয়ভাবে উদ্ভাবিত ও তৈরি টিকা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পরও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার হার গড়ে দশমিক ০৪ শতাংশ। আর দুটি ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় সংক্রমিত হওয়ার হার দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।

টিকা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ দেখা গেছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে ৯৩ লাখ ৫৬ হাজার ৪৩৬ জনের মধ্যে ৪ হাজার ২০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ১৭ লাখ ৩৭ হাজার ১৭৮ জনে আক্রান্ত মাত্র ৬৯৫ জন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অধীনস্থ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গব জানিয়েছেন, করোনা টিকা নেওয়ার পরেও যারা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে মহামারির ‘প্রাণঘাতী’ রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই।

আইসিএমআর মহাপরিচালক বলরাম ভার্গভ আরও বলেন, ‘প্রতি ১০ হাজার টিকা গ্রহীতার মধ্যে ২ থেকে ৪ জনের নতুন করে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। তাই আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।’

এএস