হরিয়ানার পৌর নির্বাচনে বিজেপি ধরাশায়ী
কৃষক আন্দোলনের প্রভাবে হরিয়ানার পৌর নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা ও এনডিটিভির।
দিল্লি-হরিয়ানার সিংঘু সীমানায় যেখানে কৃষকেরা বিক্ষোভে বসে রয়েছেন, সেই এলাকা সংলগ্ন সোনীপত এলাকায় মেয়র পদে ব্যাপক ব্যবধানে হেরেছে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি।
বিজ্ঞাপন
একই ফল হয়েছে অম্বালাতেও। সেখানেও মেয়র পদে পরাজিত হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বিজেপির শরিক দুষ্মন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টিও (জেজেপি) ঘরের মাঠ হিসার ও রেওয়াড়ীতে পৌর-পরিষদীয় ভোটে পরাজিত হয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষক আন্দোলনের জেরে পৌর নির্বাচনে ছত্রভঙ্গ দশা বিজেপি ও তার শরিক দলগুলোর।
গত রোববার হরিয়ানর অম্বালা, পঞ্চকুলা ও সোনীপত— এই তিন এলাকায় মেয়র পদে নির্বাচন হয়। এর মধ্যে একমাত্র পঞ্চকুলায় কোনো মতে জিতেছে বিজেপি। বাকি দুটি আসনের মধ্যে সোনীপতে জিতেছে কংগ্রেস।
বিজ্ঞাপন
সোনীপত হলো একেবারে সিংঘু সীমানা লাগোয়া। যেখানে গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে আন্দোলনে বসে রয়েছেন কৃষকরা। অন্য আসন অম্বালাতে জিতেছেন হরিয়ানা জনচেতনা পার্টির নেত্রী রানি শর্মা। তিনি সাবেক কংগ্রেস নেতা বিনোদ শর্মার স্ত্রী। যার ছেলে মনু শর্মা জেসিকা লাল হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
কংগ্রেস বলছে, সাধারণত যারা ক্ষমতায় থাকে তারাই এই ভোটগুলো জেতে। কিন্তু এই সরকার যে এক বছরের মধ্যেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কেবল গ্রামীণ এলাকাতেই নয়, শহরেও হেরেছে বিজেপি।
সরকারের বিরুদ্ধে কৃষকসহ সাধারণ মানুষের ক্ষোভ কতটা, তা প্রমাণ হয়েছিল নির্বাচনী প্রচারণায়। প্রচারণা চালাতে গিয়ে মু্খ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে কালো পতাকা দেখতে হয়েছে। এ জন্য আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে হরিয়ানা প্রশাসন।
এতে ক্ষোভ আরও বাড়ে। যার প্রভাব পড়েছে নির্বাচনে। তবে হরিয়ানায় নিজেদের ফলও যে আশানুরূপ হয়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
শহরে মেয়র পদে বিজেপি যেমন ফল খারাপ করেছে, তেমনি গ্রামীণ এলাকায় পুর-পরিষদীয় ভোটে রেওয়াড়ীর ধারুহেরা ও হিসারের উকলানায় হেরে গিয়েছে বিজেপির শরিক দুষ্যন্ত চৌটালার জননায়ক জনতা পার্টি।
এএস